নয়া দিল্লি: পৃথিবীর বাইরে এই সুবিশাল সৌরজগতে যে অসংখ্য গ্রহ রয়েছে, সেইগুলিতে দীর্ঘদিন ধরে প্রাণের খোঁজ চালাচ্ছেন বিশ্বের তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীর। এই বিষয়ে সবথেকে বেশি এগিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাসা। প্রাণের সন্ধানের পাশাপাশি ভিনগ্রহী বা এলিয়েনদের অস্তিত্ব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা চালাচ্ছে এই সংস্থা। এলিয়েনদের সম্পর্কে জানতে পৃথিবীর বাইরে বিভিন্ন সাংকেতিক বার্তা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নাসা। অতিদ্রুতই নীল গ্রহের গণ্ডি পেরিয়ে তা বিশ্ব ব্রক্ষ্মাণ্ডে পৌঁছে যাবে। ভিনগ্রহীদের সম্পর্কে জানতে নাসার এই আগ্রহ গোটা বিশ্বের জন্যই বড় বিপদ ডেকে আনতে পারেই বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীদের একাংশ। অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের একাংশের মতে নাসার এই কাজে গোটা বিশ্বের বিপদ বাড়তে পারে। মহাকাশে নাসার পাঠানো বার্তায় পৃথিবীর অবস্থান সহজেই জানা যাবে। অবস্থান জানতে পারলেই এলিয়েনরা পৃথিবী আক্রমণ করতে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে অক্সফোর্ডের ওই বিজ্ঞানীরা।
বাইনারি কোড যুক্ত “Beacon in the Galaxy” নামের যে বার্তা নাসার তরফে মহাকাশে পাঠানো হয়েছে তাতে পৃথিবীর অবস্থানের পাশাপাশি মানুষের ডিএনএ ও মানবদেহের ডিজিটাল ছবিও রয়েছে। অক্সফোর্ডের ফিউচার অব হিউম্যানিটি ইনস্টিটিউটের সিনিয়ির বিজ্ঞানী অ্যান্ডার্স স্যান্ডবার্গ জানিয়েছেন, এই ধরনে তথ্য পাঠালে পৃথিবীর বিপদ বাড়বে। যদিও বিআইটিজি মেসেজ মহাকাশে পাঠানো প্রথম বার্তা নয়, ১৯৭৪ সালে প্রথমবার রেডিও টেলিস্কোপ ব্যবহার করে পুয়ের্তো রিকো থেকে আরেসিবো বার্তা মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল। যদিও স্যান্ডবার্গের মতে, এই বার্তা ভিনগ্রহীদের সমাজে পৌঁছানোর সম্ভাবনা কম, তবে ঝুঁকি থেকেই যায়।
মহাকাশে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন গ্রহে যে প্রাণ থাকতে পারে, এমনকী মানুষের মতোই বুদ্ধিমান প্রাণী থাকতে পারে, দীর্ঘদিন ধরে এই কথা বলে আসছিল নাসা। সম্প্রতি ভিনগ্রহীদের আকর্ষণ করতে নাসার তরফে মহাকাশে মানুষের নগ্ন ছবিও পাঠানো হয়েছিল। এলিয়েনদের বিষয়ে আরও জানতে তাই এবার বিআইটিজি বার্তা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নাসা। নাসার এই পদক্ষেপে এলিয়েনরা আদৌ পৃথিবী আক্রমণ করে কি না অথবা এর অন্য কোনও প্রভাব পড়ে কিনা সেটাই এখন দেখার।
আরও পড়ুন Modi-Sharif Meeting: মোদীর সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে পারেন নয়া পাক প্রধানমন্ত্রী! কোথায় হবে বৈঠক?