কৃষক আন্দোলনে হস্তক্ষেপের দাবি, বিদেশ সচিবকে চিঠি ৩৬ ব্রিটিশ সাংসদের

ঋদ্ধীশ দত্ত |

Dec 05, 2020 | 9:26 PM

তিবাদের আঁচ পৌঁছে গিয়েছে বিদেশেও। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ইতিমধ্যেই কৃষকদের সমর্থন জানিয়েছেন। এবার ব্রিটেনের শাসক ও বিরোধী দল মিলিয়ে মোট ৩৬ জন সাংসদ (British MP) বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ দাবি জানালেন।

কৃষক আন্দোলনে হস্তক্ষেপের দাবি, বিদেশ সচিবকে চিঠি ৩৬ ব্রিটিশ সাংসদের
ছবি-টুইটার

Follow Us

লন্ডন: ক্রমশ তীব্রতর হতে থাকা কৃষক আন্দোলনের (Farmer Protest) ঢেউ আর ভারতে সীমিত নেই। প্রতিবাদের আঁচ পৌঁছে গিয়েছে বিদেশেও। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ইতিমধ্যেই কৃষকদের সমর্থন জানিয়েছেন। এবার ব্রিটেনের শাসক ও বিরোধী দল মিলিয়ে মোট ৩৬ জন সাংসদ (British MP) বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ দাবি জানালেন।

এই ৩৬ সাংসদ ব্রিটেনের বিদেশ সচিব ডমিনিক র্যাপকে একটি চিঠি লিখে আবেদন করেন, তিনি যেন বিষয়টি নিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের দুশ্চিন্তার কথা ব্যক্ত করেন। কেননা, নতুন কৃষি আইনের প্রভাব শুধু ভারতে পড়েনি। গোটা বিশ্বে, বিশেষ করে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্যে তা দাবানলের মত ছড়িয়ে গিয়েছে। আর যেখানে ভারতীয় শিখ অধিবাসীদের সংখ্যা বেশি, সেখানকার সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছে কেন্দ্রীয় সরকারের এই নতুন আইন।

শুক্রবার ব্রিটেনের বিদেশ সচিবকে এই চিঠি দিয়েছেন সাংসদ তনমনজিৎ সিং দেশাই। চিঠিতে ভারতীয় বংশোদ্ভূত অন্যান্য সাংসদের সই রয়েছে। এমনকী বেশকিছু শ্বেতাঙ্গ সাংসদ ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। এই প্রসঙ্গেই উল্লেখ করা যায়, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দিনকয়েক আগেই যখন আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন, তখন ভারতের পক্ষ থেকে তাঁর অবস্থানকে ‘অসতর্কিত’ এবং ‘অযৌক্তিক’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়। কৃষক আন্দোলনের বিষয়টিকে ‘এক গণতান্ত্রিক দেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যু’ বলে আখ্যা দিয়েছে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক।

তবে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক মহলে যে ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে, তা কেন্দ্রীয় সরকারের অস্বস্তি বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট।

আরও পড়ুন: ‘যোগ্যতার সঙ্গে কাজ করে প্রাধান্য নেই, ঠান্ডা ঘরে বসারাই সামনের সারিতে’, বিস্ফোরক রাজীব

ব্রিটিশ সাংসদদের তরফে দেওয়া এই চিঠিতে বলা হচ্ছে, ব্রিটেনের বিদেশ সচিব যেন জরুরি ভিত্তিতে জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। এবং পাঞ্জাবের ‘ক্রমশ খারাপ হতে থাকা পরিস্থিতি’ নিয়ে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করেন।

যেহেতু ব্রিটেনে বসবাসকারী ভারতীয়দের একটা বড় অংশ পঞ্জাবি এবং তাঁদের শেকড় ভারতের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে, তাই এই আন্দোলন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদদের জন্য। চিঠিতে লিখা হয়, ‘ভারতের অন্যান্য রাজ্যগুলিতেও এই আন্দোলন ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। ব্রিটেন নিবাসী প্রচুর শিখ এবং পঞ্জাবি মানুষ তাদের সাংসদের দ্বারস্থ হয়েছেন এবং বিষয়টিতে হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।‘

আরও পড়ুন: মোদী-মমতাকে বিস্ফোরক চিঠিতে অভিযোগ সুদীপ্ত সেনের, কোটি কোটি টাকা নিয়েছেন শুভেন্দু-সুজন-অধীর-বিমানরা

Next Article