ঢাকা: বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি), টানা চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন শেখ হাসিনা। সব মিলিয়ে পঞ্চমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসলেন তিনি। তাঁর সঙ্গেই এদিন শপথগ্রহণ করলেন তাঁর নবগঠিত মন্ত্রিসভার ৩৭ জন। এর মধ্যে ২৫ জন শপথ নিয়েছেন পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে, বাকি ১১ জন প্রতিমন্ত্রী। সবার প্রথমে শপথ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই। তারপর অন্যান্য মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা শপথ নেন। বঙ্গভবনে এই শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মহম্মব সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। ভোট হওয়া ২৯৮ আসনের মধ্যে ২২৩টিতে জয়লাভ করে আওয়ামি লিগ। আর ৬২টি আসনে জিতেছিলেন নির্দল প্রার্থীরা, যাদের অনেকেই আওয়ামি লিগেরই নেতা।
নতুন হাসিনা মন্ত্রিসভায় মহিলা থাকছেন চারজন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও, ২৫ জন পূর্ণ মন্ত্রীর মধ্যে মহিলা হিয়েবে রয়েছেন দীপু মনি। আওয়ামি লিগের প্রার্থী হিসেবে দীপু মনি ১,০৯,০৪৬টি ভোট পেয়েছিলেন। এর আগেও হাসিনা সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। বিদায়ী মন্ত্রিসভায় তিনি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে। তার আগে হাসিনা মন্ত্রিসভায় বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এছাড়া, প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন আরও দুই মহিলা। একজন হলেন রুমানা আলি, গাজীপুর-৩ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে জয়ী হয়েছেন তিনি। এছাড়া, প্রতিমন্ত্রী হলেন সিমিন হোসেন রিমি। এই বারই প্রথম মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন মোট ১৪ জন।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পর, বঙ্গভবনের লনে সাজানো শামিয়ানার নীচে চা-কফি এবং বিবিধ খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয় মন্ত্রিসভার সদস্যদের। খাবারের পদে, প্রাধান্য ছিল মাংস ও সবজি জাতীয় খাবারের। ছিল বিভিন্ন ফলও। খাদ্যপদের মধ্যে ছিল মাটন শিক কাবাব, চিকেন শাশলিক, ভেটকি মাছের ফিশ ফিঙ্গার, বয়েল্ড ভেজিটেবলস, মাশরুম, পনির সমুচা। মিষ্টিমুখের জন্য ছিল পাটিসাপটা, মিষ্টি-বাকলাভা ইত্যাদি।