কোরিয়ামা: বিশ্বের উন্নত দেশগুলিতে এখন বিদ্যুৎ বিভ্রাট অথবা লোডশেডিংয়ের সমস্যা খুব একটা শোনা যায়না। এমনকী উন্নয়নশীল দেশগুলিতেও এই সমস্যা তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম। কিন্তু জাপানে অন্ধকারে ডুবে ১০ হাজার বাড়ি। জানা গিয়েছে, একটি সাপের কারণে এমন বিদ্যুৎ বিভ্রাট পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে, বিদ্যুতের সাবস্টেশনে ঢুকে পড়ে একটি সাপ ঝলসে গিয়েছিল, সেই কারণে শহরের ১০ হাজার বাড়িতে অন্ধকার নেমে এসেছে। নিউজউইকে প্রকাশিত জাপানের ফুকুশিমা প্রিফেকচারের কোরিয়ামা শহরের বাসিন্দারা ২৯ জুন দুপুরে নজিরবিহীন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেই সময় সেখানকার তাপমাত্র অনেকটাই বেশি ছিল। ফলে দীর্ঘ সময় ধরে সেখানকার বাসিন্দাদের গলদঘর্ম অবস্থায় কাটাতে হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে তোহুকু ইলেক্ট্রিক পাওয়ার কোম্পানি বিদ্যুৎ বিভ্রাটের আসল কারণ জানতে পারে। বিভিন্ন মেশিন পরীক্ষা করে তারা জানতে পারে সেখানে কোনও একটি বস্তু আটকে রয়েছে।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, তারা যখন সাপের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছিলেন, সেই সময়ও মেশিনের মধ্য সাপটি জ্বলছিল। বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সাপটি প্রাণ হারায় এবং তার দেহ হাই ভোল্টেজের কারণ জ্বলতে শুরু করে। সাপের দেহ জ্বলার কারণে তৈরি হওয়া ধোঁয়া থেকে সাবস্টেশনের মধ্যে থাকা ফায়ার অ্যালার্ম ও বাজতে শুরু করে। কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে দমকলে খবর দেওয়া হয়েছিল। সেখানে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির কারণে শর্ট সার্কিট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যাবতীয় যন্ত্র বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। যাবতীয় সমস্যা সমাধান করতে ১ ঘণ্টার সামান্য বেশি সময় লেগেছিল। তারপরই ওই ১০ হাজার বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছিল।
জাপান টুডেকে উদ্ধৃত করে নিউজউইক জানিয়েছে, সাবস্টেশনে সাপের কারণে এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকের মনেই আগ্রহ জন্মেছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের একজন বলেন, “আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা এমন সহজেই বন্ধ করা যায়।” অন্য আরেকজন বলেন, “যদি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে অথবা আবহাওয়ার কারণে এমন অবস্থা হত, তবে মানা যেত। কিন্তু একটি সাপের কারণে এমনটা হল, এটাই আশ্চর্যের।”