ফ্লোরিডা: ফিরে আসার কথা ছিল ৮ দিন পর। কিন্তু, ফিরে আসা হয়নি। তারপর কেটে গিয়েছে কয়েকমাস। এখনও আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনেই রয়েছেন দুই মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস ও ব্যারি ই উইলমোর। এবার তাঁদের ফিরিয়ে আনতে মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশে পাড়ি দিল স্পেস এক্সের মহাকাশযান। শনিবার ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল থেকে মহাকাশযানটি পাড়ি দেয়।
নাসা জানিয়েছে, এলন মাস্কের স্পেস এক্সের ফ্যালকন ৯ রকেট এদিন দুই মহাকাশচারীকে নিয়ে রওনা দিয়েছে। তবে মহাকাশযানটি চার জন মহাকাশচারীকে বহন করতে পারে। সুনীতা ও উইলমোরকে ফিরিয়ে আনার জন্য দুটি আসন ফাঁকা রেখেই মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে মহাকাশযানটি। স্পেস এক্সের মহাকাশযানে চড়ে মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছেন নাসার মহাকাশচারী নিক হক ও রাশিয়ার মহাকাশচারী অ্যালেক্সজান্ডার গুর্বুনভ। মহাকাশযানটির সফল উড়ানের জন্য নাসা ও স্পেস এক্সকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নাসার প্রধান বিল নেলসন।
জুন মাস থেকে মহাকাশ স্টেশনে রয়েছেন সুনীতা ও উইলমোর-
গত ৫ জুন মহাকাশযান স্টারলাইনারে চড়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন দুই মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস ও ব্যারি ই উইলমোর। ৮ দিনের মিশন ছিল। তারপর তাঁদের ফিরে আসার কথা। কিন্তু, স্টারলাইনার মহাকাশযানে নানা ত্রুটির জন্য ঝুঁকি নেয়নি নাসা। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনেই থাকতে বলা হয় দুই মহাকাশচারীকে। সেই থেকে সেখানে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষায় ব্যস্ত সুনীতারা। নাসা জানিয়েছে, মহাকাশ স্টেশনে সুনীতাদের অতিরিক্ত দিন থাকতে কোনও সমস্যা নেই। সুনীতারাও জানিয়েছেন, তাঁদের কোনও সমস্যা হচ্ছে না।
কবে ফিরবেন সুনীতারা?
স্পেস এক্সের মহাকাশযান ২৭ ঘণ্টার মতো সময় নেবে মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছতে। কিন্তু, মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছে গেলেও এখনই ফেরা হচ্ছে না সুনীতাদের। নিক হক ও অ্যালেক্সজান্ডার গুর্বুনভ ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত থাকবেন মহাকাশ স্টেশনে। ফেব্রুয়ারিতে তাঁরা পৃথিবীতে ফিরবেন। তাঁদের সঙ্গেই স্পেস এক্সের মহাকাশযানে চড়ে পৃথিবীতে ফিরবেন সুনীতা ও উইলমোর। ফলে সুনীতাদের পৃথিবীতে ফেরার জন্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।