Titanic Drowned: টাইটানিক দুর্ঘটনায় মৃত স্ট্রস দম্পতির প্রপৌত্রী নিখোঁজ টাইটান-এর আরোহী
Titan: আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটাবনিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে ওয়েন্ডি রাশের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনা-ই যেন টাইটান-কে মিলিয়ে দিল টাইটানিকের সঙ্গে। যেন কোনও অমোঘ টানেই স্ট্রস দম্পতির প্রপৌত্রী বারবার টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যেতেন।
নিউ ইয়র্ক: একেই বলে ভাগ্যের পরিহাস! এক শতাব্দীরও বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু, ডুবোযান ‘টাইটান’ (Titan)-এর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা যেন মিলিয়ে দিল ধ্বংসপ্রাপ্ত ‘টাইটানিক’ (Titanic)-কে। ১৯১২ সালে আটলান্টিক মহাসাগরের অতলে তলিয়ে গিয়েছিল বিলাসবহুল জাহাজ ‘টাইটানিক’। সেই জাহাজের অন্যতম যাত্রী ছিলেন বৃদ্ধ দম্পতি, ইডিটর স্ট্রস ও ইডা স্ট্রস। ভালবাসা যে কী হয়, সেটা এই বৃদ্ধ দম্পতির মাধ্যমে টাইটানিক সিনেমায় তুলে ধরেছিলেন পরিচালক জেমস ক্যামেরন। লাইফ জ্যাকেট খুলে ফেলে পরস্পর পরস্পরকে আঁকড়ে ধরে একসঙ্গে বিছানায় শুয়ে শান্তভাবে মৃত্যুকে বরণ করে নিয়েছিলেন স্ট্রস দম্পতি। সেই ঘটনা মিথ্যা ছিল না। সেজন্যই জ্যাক-রোজের মতো আজও দর্শকদের মণিকোঠায় রয়ে গিয়েছেন স্ট্রস দম্পতি। টাইটানিকের অতলান্তের সঙ্গেই হিমশীতল আটলান্টিক মহাসাগরের (Atlantic Ocean) জলে ডুবে মৃত্যু হয় তাঁদের। এবার সেই একই পরিণতির শিকার হলেন তাঁদের প্রপৌত্রী ওয়েন্ডি রাশ! নিখোঁজ ডুবোযান ‘টাইটান’-এর যাত্রী ছিলেন তিনি। এখনও পর্যন্ত তাঁর হদিশ মেলেনি। আর তাঁর মধ্য দিয়েই যেন টাইটানিক-এর সঙ্গে মিলে গেল টাইটান।
ডুবোযান মূলত টাইটানিক-এর ধ্বংসাবশেষ দেখাতেই ৫ যাত্রী নিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরের অতলে পাড়ি দিয়েছিল। ওসিয়ান গেট সংস্থার অধীনেই টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে নিয়ে যায় টাইটান। ওসিয়ান গেট-এর সিইও স্টকটোন রাশ হলেন স্ট্রস দম্পতির প্রপৌত্রী ওয়েন্ডি রাশের স্বামী। আর ওয়েন্ডি এই সংস্থার বোর্ড মেম্বার। ফলে সংস্থার তরফেই তিনি যাত্রী নিয়ে টাইটানিক-এর ধ্বংসাবশেষ দেখতে আটলান্টিক মহাসাগরের গভীরে পাড়ি দেন। এর আর দু-বার আটলান্টিক মহাসাগরে পাড়ি দিয়েছিলেন ওয়েন্ডি। ফিরেও এসেছিলেন। কিন্তু, তৃতীয়বারে টাইটান-এর সঙ্গেই নিখোঁজ হয়ে গেলেন ওয়েন্ডি।
নিউ ইয়র্ক টাইমস সূত্রে জানা গিয়েছে, স্ট্রস দম্পতির একমাত্র মেয়ে মিনি। তিনি ১৯০৫ সালে ডা. রিচার্ড উইলে কিয়ে বিয়ে করেছিলেন। তাঁদের পুত্র জুনিয়ার উইল নিউ ইয়র্কের মেসির প্রেসিডেন্ট হন। তাঁর পুত্র তৃতীয় রিচার্ড উইল পেশায় চিকিৎসক ছিলেন। তাঁরই মেয়ে হলেন ওয়েন্ডি রাশ। তিনি ১৯৮৬ সালে স্টকটোন রাশকে বিয়ে করেন।
আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটাবনিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে ওয়েন্ডি রাশের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনা-ই যেন টাইটান-কে মিলিয়ে দিল টাইটানিকের সঙ্গে। যেন কোনও অমোঘ টানেই স্ট্রস দম্পতির প্রপৌত্রী বারবার টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যেতেন। তারপর তৃতীয়বারের অভিযানে আটলান্টিক মহাসাগরের গভীরেই নিখোঁজ হয়ে গেলেন তিনি। যদিও এখনও তল্লাশি অভিযান চলছে। হয়তো গভীর সাগর থেকে জীবিত অবস্থায় উঠে আসবেন ওয়েন্ডি রাশ। এমনই অপেক্ষায় তাকিয়ে সকলে।