Country name change: ইরান থেকে তুরস্ক – নাম বদলেছে বিশ্বের এই দেশগুলির; কেন প্রয়োজন নতুন নামের?

TV9 Bangla Digital | Edited By: সোমনাথ মিত্র

Sep 07, 2023 | 4:00 PM

কোনও একটি দেশের নাম বদলের ঘটনা কোনও নতুন বিষয় নয়। আধুনিক বিশ্বে বেশ কয়েকটি দেশই নাম বদল করেছে। কোন কোন দেশ তাদের আগের নাম বদল করেছে? নাম বদলের পিছনে কারণ কী ছিল?

Country name change: ইরান থেকে তুরস্ক - নাম বদলেছে বিশ্বের এই দেশগুলির; কেন প্রয়োজন নতুন নামের?
যা ছিল সিলন, তাই হয়েছে শ্রীলঙ্কা
Image Credit source: Twitter

Follow Us

নয়া দিল্লি: ইন্ডিয়া এবং ভারত, দেশের নাম হিসেবে দুটি নামকেই স্বীকৃতি দিয়েছিলেন সংবিধান প্রণেতারা। কিন্তু, লোকসভা নির্বাচন ২০২৪-এর আগে হঠাৎ করেই উসকে উঠেছে নাম বিতর্ক। বিজেপি শিবিরের মতে, ইন্ডিয়া নামটির সঙ্গে দাসত্বের ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে। বদলে ভারত নামটি ব্যবহার করা উচিত। বিরোধীরা অবশ্য বলছে, বিরোধী জোটের নাম ইন্ডিয়া রাখাতেই কেঁপে গিয়েছে শাসক দল। তাই এই নাম বদলের প্রসঙ্গ টানা হচ্ছে। কোনও একটি দেশের নাম বদলের ঘটনা অবশ্য কোনও নতুন বিষয় নয়। আধুনিক বিশ্বে বেশ কয়েকটি দেশই নাম বদল করেছে। ইন্ডিয়া নাম থাকা উচিত কি অনুচিত, এই বিতর্কে না ঢুকে দেখে নেওয়া যাক কোন কোন দেশ তাদের আগের নাম বদল করেছে। নাম বদলের পিছনে কারণ কী ছিল?

ইরান

আগের নাম: পারস্য
নাম বদলের সময়: ১৯৩৫ সাল

১৯৩৫ সাল পর্যন্ত বিশ্বে, বিশেষ করে পশ্চিমী দুনিয়ায় ইরান পরিচিত ছিল পারস্য নামেই। ওই বছর ইরান সরকার তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকা দেশগুলিকে অনুরোধ করেছিল, পারস্যের পরিবর্তে তাদের যেন ইরান নামে ডাকা হয়। মজার বিষয় হল, এর পিছনে প্রধান ভূমিকা ছিল নাৎসি জার্মানির। তাদের মতে, ইরান ছিল অন্যতম শুদ্ধ ‘আর্য’ রক্তের দেশ। পারস্য ভাষায় ‘ইরান’ কথাটির অর্থ ‘আর্য’। ইরানে নিযুক্ত সেই সময়ের জার্মান রাষ্ট্রদূতের পরামর্শেই এই নাম বদল করেছিল ইরান। এই নাম বদলে তারা ব্রিটেন এবং রাশিয়ার প্রভাব থেকে মুক্ত হতে পারবে বলে আশা করেছিল ইরান।

আয়ারল্যান্ড

আগের নাম: আইরিশ ফ্রি স্টেট
নাম বদলের সময়: ১৯৩৭ সাল

১৯২১ সালের শেষ দিকে অ্যাংলো-আইরিশ চুক্তির মাধ্যমে আয়ারল্যান্ডে ৩০০ বছরের ইংরেজ শাসনের অবসান ঘটেছিল। শেষ হয়েছিল আয়ারল্যান্ডের স্বাধীনতা যুদ্ধ। আইরিশ দ্বীপের ৩২টি কাউন্টির মধ্যে ২৬টি নিয়ে গঠিত হয় আইরিশ ফ্রি স্টেট। ১৯৩৭-এ আইরিশ সংবিধান আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের নাম পরিবর্তন করে আয়ারল্যান্ড বা আইরিশ ভাষায় ইরি রাখে। ১৯৪৯-আয়ারল্যান্ডকে প্রজাতন্ত্র হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল, নাম হয়েছিল আয়ারল্যান্ড প্রজাতন্ত্র।

থাইল্যান্ড

আগের নাম: সিয়াম
নাম বদলের সময়: ১৯৩৯ সাল

থাইল্যান্ডের আগের নাম ছিল সিয়াম। এটি সম্ভবত সংস্কৃত থেকে এসেছিল, অর্থ ছিল ‘অন্ধকার’। ১৯৩৯ সালে থাইল্য়ান্ডের ক্ষমতা দখল করেছিলেন স্বৈরাচারী সামরিক শাসক প্লেক ফিবুনসংখরাম বা ফিবুন। এই উগ্র জাতীয়তাবাদী নেতা দেশের আধুনিকীকরণের অংশ হিসাবে এবং চিনের প্রভাবের মোকাবিলা করতে দেশীয় সংস্কৃতি এবং ভাষার সম্প্র জোর দিয়েছিলেন।
তার অংশ হিসেবেই দেশের নাম বদল করেছিলেন তিনি। ‘থাই’ কথাটির অর্থ ‘মানুষ’ বা ‘মুক্ত মানুষ’।

বতসোয়ানা

আগের নাম: বেচুয়ানাল্যান্ড প্রটেক্টরেট
নাম বদলের সময়: ১৯৬৬ সাল

এই দেশের প্রধান জাতিগোষ্ঠী হল সোয়ানা। বতসোয়ানা কথাটির অর্থ সোয়ানাদের জায়গা। আফ্রিকার দক্ষিণাংশের এই দেশটি হিরের খনির জন্য বিখ্যাত। ১৮৮৫ সালে ব্রিটিশরা এই দেশ দখল করেছিল। সোয়ানা উচ্চারণ করতে বনা পেরে, তারা দেশটির নাম দিয়েছিল বেচুয়ানা। স্বাধীন হওয়ার পর, ১৯৬৬ সালে ভুল উচ্চারণ সংশোধন করে নয়া নাম গ্রহণ করে দেশটি।

শ্রীলঙ্কা

আগের নাম: সিলন
নাম বদলের সময়: ১৯৭২ সাল

ব্রিটিশরা এই দ্বীপরাষ্ট্রের নাম দিয়েছিল সিলন। আরবিতে শ্রীলঙ্কাকে সাহেলান নামে ডাকা হত। তারই অপভ্রংশ সিলন। ১৯৭২ সালে দেশের নাম পরিবর্তন করে ‘স্বাধীন সার্বভৌম শ্রীলঙ্কা প্রজাতন্ত্র’ রাখা হয়েছিল। ছয় বছর পরে, ফের একবার নাম বদলে রাখা হয়, ‘গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক শ্রীলঙ্কা প্রজাতন্ত্র’। এই দ্বীপরাষ্ট্রের প্রাচীন নাম ছিল লঙ্কা। তার সঙ্গে সম্মানসূচক শব্দ ‘শ্রী’ যুক্ত করা হয়।

বেনিন

আগের নাম: দাহোমে
নাম বদলের সময়: ১৯৭৫ সাল

দাহোমে ছিল পশ্চিম আফ্রিকার ১৫ শতকের এক রাজ্য। বেনিনের এটা অংশ এই রাজ্যের দখলে ছিল। আদিবাসী ফন সম্প্রদায়ের ভাষায় এর অর্থ ‘সাপের পেট’। ১৮৭২ সালে ফরাসিরা এই দেশ দখল করার পর, আটলান্টিক উপকূলের এই আফ্রিকান দেশটিকে তারা ডাকত দাহোমে বলে। ১৯৬০ সালে স্বাধীন হয় বেনিন, ১৯৭৫-এ নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বেনিন। ওই অঞ্চলের বিনি সম্প্রদায়ের মানুষদের থেকেই দেশটির নয়া নাম রাখা হয়েছিল বেনিন।

সুরিনামে

আগের নাম: সুরিনাম
নাম বদলের সময়: ১৯৭৮ সাল

দক্ষিণ আমেরিকার উত্তর-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত এই দেশটির নাম এসেছে সুরিনেন সম্প্রদায় থেকে। ইউরোপীয়রা প্রথম এই দেশ দখল করার সময় এই সুরিনেনরাই ওই অঞ্চলে বসবাস করত। তার সঙ্গে ‘আমে’ যুক্ত করে দেশটির নাম রেখেছিল ব্রিটিশরা। স্থানীয় ভাষায় আমে শব্দটির অর্থ নদী। ১৬৩০-এ সুরিনাম নদীর তীরে প্রথম ব্রিটিশ উপনিবেশ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। তবে, ব্রিটিশরা বানানে একটু ভুল করেছিল। এরপর, ১৭ শতকে দেশটি দখল করে ডাচরা, ডাচ গায়ানার অংশ হয়ে উঠেছিল। ১৯৭৫ সালে স্বাধীনতা লাভ করে এবং ১৯৭৮ সালে নামের বানানটি সংশোধন করে ‘সুরিনামে’ করা হয়।

জিম্বাবোয়ে

আগের নাম: রিপাবলিক অব রোডেশিয়া
নাম বদলের সময়: ১৯৮০ সাল

একসময় জিম্বাবোয়ে, ব্রিটিশ উপনিবেশ, রোডেশিয়া নামে পরিচিত ছিল। সাম্রাজ্যবাদী উদ্যোগপতি সিসিল রোডসের নাম থেকেই এই নামকরণ করা হয়েছিল। ১৯৬৫ সালে স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর, প্রথমে এটি শুধু রোডেশিয়া এবং তারপরে রোডেশিয়া প্রজাতন্ত্র নামে ডাকা হত। ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত শ্বেতাঙ্গ সংখ্যালঘুদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। তবে, ছয়ের দশকের গোড়া থেকেই কৃষ্ণাঙ্গ জাতীয়তাবাদীরা জিম্বাবোয়ে নামটি ব্যবহার করতে শুরু করেছিলেন। এর অর্থ হল পাথরের ঘর। জিম্বাবোয়ে নামে এই অঞ্চলে একটি মধ্যযুগীয় শহরও ছিল। যা এখন একটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান। রাষ্ট্রপুঞ্জের হস্তক্ষেপে ১৯৭৯ সালে অবাধ নির্বাচন হয়। ক্ষমতা আসে কষ্ণাঙ্গরা। নাম বদলে হয় জিম্বাবোয়ে।

বুর্কিনা ফাসো

আগের নাম: রিপাবলিক অফ আপার ভোল্টা
নাম বদলের সময়: ১৯৮৪ সাল

পশ্চিম আফ্রিকার এই ছোট্ট দেশটি ফরাসি উপনিবেশ পশ্চিম আফ্রিকার অংশ ছিল। ভোল্টা নদীর পারে অবস্থিত এলাকাটি আপার ভোল্টা নামে পরিচিত ছিল। ১৯৫৮ সালে স্ব-শাসিত প্রজাতন্ত্র হিসেবেল আত্মপ্রকাশ করে দেশটি, দুই বছর পরে পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৮৪ সালে, প্রেসিডেন্ট টমাস সানকারা, ঔপনিবেশিক ইতিহাসকে পিছনে ফেলে দিতে নাম পরিবর্তন করে বুর্কিনা ফাসো রাখেন। বিভিন্ন স্থানীয় ভাষা থেকে নামটির দুটি অংশ নেওয়া হয়েছে। একত্রে এর অর্থ ‘সৎ লোকের দেশ’।

গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র

আগের নাম: জাইরে প্রজাতন্ত্র
নাম বদলের সময়: ১৯97 সাল

১৮৮৫ সালে, বেলজিয়ান রাজা দ্বিতীয় লিওপোল্ড তাঁর ব্যক্তিগত জায়গা হিসাবে ‘কঙ্গো ফ্রি স্টেট’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৯০৮-এ বেলজিয়াম দেশ হিসেবে এটি দখল করেছিল। ১৯৬০ পর্যন্ত এটি পরিচিত ছিল বেলজিয়ান কঙ্গো নামে। স্বাধীনতার পর, গৃহযুদ্ধের ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল গোটা দেশ। ১৯৬৫-তে মোবুতু সেসে সেকো নামে এক সেনা কর্তা ক্ষমতা দখল করেন। তিনি কঙ্গোর একটি নদীর নাম অনুসারে দেশটির নামকরণ করেন জাইরে। ১৯৬৭-তে মোবুতু ক্ষমতাচ্যুত হন এবং নয়া রাষ্ট্রপ্রধান লরেন্ট-ডিসির কাবিলা দেশটির নাম দেন গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র।

কাবো ভার্দে

আগের নাম: কেপ ভার্দে
নাম বদলের সময়: ২০১৩ সাল

২০১৩ সালে, পশ্চিম আফ্রিকার এই দ্বীপরাষ্ট্রটি কেপ ভার্দে থেকে নাম বদলে কাবো ভার্দে করে। দুটির অর্থে কোনও ফারাক নেই। শুধু প্রথমটি ইংরেজি কথা, দ্বিতীয়টি পর্তুগিজ। ১৪৬২ সালে এই দ্বীপে প্রথম উপনিবেশ স্থাপন করেছিল পর্তুগিজরা। যৈাইহোক, দুটি বানানেই দেশটির নাম গ্রহণ করা হয়েছে ক্যাপ ভার্ট শব্দ থেকে। যার অর্থ ‘সবুজ চাদর’। ১৪৪৪-এ এই দেশে প্রথম যখন এসেছিল পর্তুগিজরা, সেই সময় এই দ্বীপের পূর্বে সবুজ এলাকা দেখে এর এই নাম রেখেছিল।

চেকিয়া

আগের নাম: চেক প্রজাতন্ত্র
নাম বদলের সময়: ২০১৬ সাল

১৯৯২ সালে চেকোস্লোভাকিয়ার অবলুপ্তির পর, চেক প্রজাতন্ত্র এবং স্লোভাকিয়া প্রজাতন্ত্রের তৈরি হয়েছিল। ২০১৬-এর এপ্রিলে চেক প্রজাতন্ত্রের নেতারা দেশটির নাম বদলে চেকিয়া করার সিদ্ধান্ত নেন। তারা দাবি করেছিল, আন্তর্জাতিক মহলের নজর কাড়ার জন্য এবং বিদেশী বিনিয়োগকে প্রলুব্ধ করার জন্য চেক প্রজাতন্ত্র নামটা খুব বড় ছিল।

এস্বাতিনি

আগের নাম: সোয়াজিল্যান্ড
নাম বদলের সময়: ২০১৮ সাল

ব্রিটেন থেকে স্বাধীনতা লাভের ৫০তম বছর উপলক্ষে, সোয়াজিল্যান্ডের রাজা দ্বিতীয় সোয়াতি দেশটির নাম বদলে এস্বাতিনি রেখেছিলেন। এই বিষয়ে তিনি কারও সঙ্গে কোনও শলা-পরামর্শ না করায়, এই নাম বদল নিয়ে নাগরিকদের একাংশ আপত্তি তুলেছিল। যদিও নতুন নামটি সোয়াজি ভাষার বলে পরে গ্রহণযোগ্যতা পায়। এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য ছিল ঔপনিবেশিক অতীতকে পিছনে ফেলাএবং একইসঙ্গে সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে যঠাতে তাদের দেশের নাম ন গুলিয়ে যায়, তা নিশ্চিত করা।

উত্তর ম্যাসিডোনিয়া

আগের নাম: ম্যাসিডোনিয়া
নাম বদলের সময়: ২০১৯ সাল

১৯৯১ যুগোস্লাভিয়া ভেঙে যে ছয়টি প্রজাতন্ত্র তৈরি হয়েছিল, তার অন্যতম ছিল ম্যাসিডোনিয়া । সমস্যা হল, প্রতিবেশী গ্রিসের উত্তর অংশের একটি অঞ্চলও ঐতিহাসিকভাবে ম্যাসিডোনিয়া নামেই পরিচিত। তাই, তাদের ন্যাটো সদস্য হওয়ার বিষয়ে আপত্তি জানাচ্ছিল গ্রিস। ২০১৯ সালে ম্যাসিডোনিয়া তাদের নাম পরিবর্তন করে উত্তর ম্যাসিডোনিয়া রাখতে সম্মত হয়, গ্রিসও বিরোধিতার পথ থেকে সরে আসে।

মায়ানমার

আগের নাম: বার্মা
নাম বদলের সময়: ২০১৯ সাল

সংখ্যাগরিষ্ঠ বর্মন জাতিগোষ্ঠীর নামানুসারে, ভারতের প্রতিবেশি এই দেশটির নাম দীর্ঘদিন পর্যন্ত বার্মা ছিল। ১৯৮৯ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানের পর, জুন্টা সরকার আচমকা সেই দেশের নাম পাল্টে মায়ানমার করে। নামটি এই দেশের এক প্রাচীন নাম। প্রথমে জুন্টা সরকারের বিরোধিতায় বাকি দেশটিকে বার্মা বলেই ডাকতে থাকে। ২০১৯-এ সরকারিভাবে রাষ্ট্রপুঞ্জ নাম বদলে স্বীকৃতি দেয়।

নেদারল্যান্ডস

আগের নাম: হল্যান্ড
নাম বদলের সময়: ২০২০ সাল

কয়েক বছর আগেও পশ্চিম ইউরোপের এই দেশটি হল্যান্ড নামেই পরিচিত ছিল। ২০২০-র জানুয়ারিতে, ডাচ সরকার নেদারল্যান্ডস নামটি ঘোষণা করে। হল্যান্ড আসলে দুটি ডাচ প্রদেশকে বোঝায়। তাই ওই নামে পুরো দেশের প্রতিনিধিত্ব নেই বলে নে করেছিল সরকার। তাছাড়া, নয়া নামকরণ পর্যটন শিল্পের প্রসারে দেশকে রিব্র্যান্ড করার প্রচেষ্টা বলেও মনে করা হ.।

তুরকিয়ে

আগের নাম: তুরস্ক
নাম বদলের সময়: ২০২২ সাল

নাম বদলানোর তালিকায় সর্বশেষ দেশ তুরস্ক। বর্তমানে এই দেশের নাম তুরকিয়ে বা তুর-কি-ইয়া। প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের মতে, নয়া নামটি তুর্কি জাতির সংস্কৃতি, সভ্যতা এবং মূল্যবোধের প্রতিনিধিত্বকারী। সেই দেশের কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, উত্তর আমেরিকার থ্যাঙ্কসগিভিংএ-র ছুটিতে যে টার্কি পাখি খাওয়া হয়, তার সঙ্গে তাঁদের দেশের নাম প্রায়শই গুলিয়ে যেত। তাই, সেই সমস্যা দূর করতেও এই পরিবর্তন করা হয়েছে।

Next Article