সিডনি: ১৫ দিনের বেশি হয়ে গেল সম্পূর্ণ লকডাউন চলছে অস্ট্রেলিয়ায় (Australia)। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হচ্ছে না। কারণ, লকডাউনেও বাড়ছে ডেল্টা স্ট্রেনের শিকার। একদিন অন্তর ৪৫ শতাং অধিক ছড়াচ্ছে ডেল্টা। আর তাতেই আতঙ্কে সিডনি। করোনার স্ট্রেনই হয়ে উঠছে মারাত্মক। একটার পর একটা স্ট্রেন ডেকে আনছে নতুন ঢেউ। অসহায় হয়ে পড়ছে একের পর এক শহর। সোমবার নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার গ্লেজিস বেরেজিক্লিয়ান সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা শুধু চাই সবাই বাড়িতে থাকুক। বাড়িতে থাকলে এই ভাইরাস ছড়াবে না।”
এপ্রিল মাসের পর সিডনিতে করোনায় মৃত্যু হয়নি। কিন্তু ডেল্টার প্রকোপে সিডনিতে ফের করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর আসছে। ডেল্টার এই মারণ থাবায় সিডনির উদাহরণ ভয় ধরাচ্ছে অন্যান্য দেশেও। সিডনির অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে উঠছে যে সেখানকার ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ওয়েলসের অধ্যাপক বিল বাওটেল জানিয়েছেন, এটি ১২০ বছরে সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিপদ। কারণ, লকডাউনেও লাগাম পড়ছে না অতি সংক্রামক এই স্ট্রেনে। তাহলে উপায়? উপায় একটাই ভ্যাকসিন। যত দ্রুত সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া যায়, তত দ্রুত রেহাই মিলবে ডেল্টার কাছ থেকে।
পরিসংখ্যান বলছে, জাতীয় টিকাকরণে অনেকটাই পিছিয়ে অস্ট্রেলিয়া। অজিরা স্রেফ ২৬ শতাংশ মানুষকেই করোনা টিকার একটি ডোজ় দিতে পেরেছে। যেখানে ইজরায়েল, আমেরিকা, চিন অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ ভ্যাকসিন সঠিক সংখ্যক মানুষের কাছে না পৌঁছলে করোনা রোখা কঠিন। সিডনির এই ছবি ভয় ধরাচ্ছে ভারতে। কারণ, ব্লুমবার্গের তথ্য বলছে ভারতে স্রেফ ৫ শতাংশ মানুষ করোনা টিকার ২ ডোজ় পেয়েছেন। একটি ডোজ় পেয়েছেন ২২ শতাংশ মানুষ। অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়ার চেয়েও শতাংশের বিচারে পিছিয়ে ভারত। তাহলে ভারতে তৃতীয় ঢেউ অস্ট্রেলিয়ার থেকেও মারাত্ম হবে, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আরও পড়ুন: ‘আফগানিস্তানে তালিবান অভ্যুত্থানের জন্য দায়ী আমেরিকাই’, তোপ চিনের, বিশেষ প্রস্তুতি পাক সেনার