Taliban: তালিবানের হাতে ধ্বংস হয়েছিল বৌদ্ধ নিদর্শন, সেই বামিয়ানেই পাহারার তোড়জোড় তালিবদের

Oct 09, 2021 | 12:31 PM

Bamiyan Buddha: ২০০১ সালে বেশির ভাগ অংশ ধ্বংস করে দিয়েছিল তালিবান। প্রাচীন সব মূর্তিই ধ্বংস করার লক্ষ্য নিয়েছিল তারা। আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েকশ তালিব কর্মী সেই কাজে নিযুক্ত ছিল।

Taliban: তালিবানের হাতে ধ্বংস হয়েছিল বৌদ্ধ নিদর্শন, সেই বামিয়ানেই পাহারার তোড়জোড় তালিবদের
১০০ জন মার্কিন নাগরিক আফগানিস্তান ছাড়বেন কিনা সেবিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি ছবি ফাইল চিত্র

Follow Us

কাবুল: এর আগে আফগানিস্তানে (Afghanistan) ক্ষমতায় থাকাকালীন বামিয়ানের (Bamiyan) বিখ্যাত বুদ্ধমূর্তি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল তালিবান। বিশ্বের ইতিহাসে ঐতিহাসিক নিদর্শনের ওপর এটাই ছিল অন্যতম বড় হামলা। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার পর সেই বামিয়ানেই পাহারা দিতে দেখা গেল তালিবানকে। ২০০১ সালে বেশির ভাগ অংশ ধ্বংস করে দিয়েছিল তালিবান। প্রাচীন সব মূর্তিই ধ্বংস করার লক্ষ্য নিয়েছিল তারা। আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েকশ তালিব কর্মী সেই কাজে নিযুক্ত ছিল।

আফগানিস্তানের বামিয়ান প্রদেশের বৌদ্ধস্তম্ভগুলো প্রায় দেড় হাজার বছরের পুরনো। বৌদ্ধ ইতিহাসের অন্যতম সাক্ষী এই সব নিদর্শন। কঠোর ইসলামি শরিয়া আইনের নামে ২০০১ এ সব ধ্বংস করতে শুরু করে তারা। তবে বামিয়ানের মূর্তি নিয়ে চর্চা হয় বেশি। ঐতিহাসিক নিদর্শন ধ্বংসের ঘটনা বিশ্ব জুড়ে তালিবানের নিন্দা করেন অনেকেই। বামিয়ানে এখনও ফলকে লেখা আছে তালিবানের হাতে বুদ্ধকে ধ্বংস করা হয়েছিল।

আফগানিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ হাসান আখুন্দ ওই ঘটনার সঙ্গে সেই সময় যুক্ত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। পেনসিলভানিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসবিদ আলী ওলোমির জানান, বামিয়ানের বুদ্ধমূর্তি ধ্বংসের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন আফগানিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হাসান আখুন্দ।

বিশ্ব ঐতিহ্যের নিদর্শনসমূহকে এভাবে ধ্বংস করা অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একতরুণ তালিবানের এক সদস্যকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি এএফপিকে বলেন, আমি কোনও মন্তব্য করতে চাইছি না। তালিবান সদস্য সম্প্রতি বামিয়ান প্রদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক কার্যালয়ে নিযুক্ত হয়েছেন। তিনি বলেন, ঘটনাটা যখন ঘটেছিল তখন আমি খুব ছোট ছিলাম। যদি তারা এই কাজ করেই থাকে, তাহলে ইসলামিক আমিরাতের কাছে নিশ্চয়ই কোনও না কোনও যুক্তি ছিল। কিন্তু এখন আমরা আমাদের ঐতিহাসিক ঐতিহ্য রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ ব্যাপারে সম্প্রতি ইউনেস্কোর সঙ্গেও কথা বলেছে তালিবান।

আরও পড়ুন: Afghanistan: বিদ্যুতের বিল মেটাচ্ছে না তালিব সরকার, বাস্তবেও অন্ধকারে ডুবতে বসেছে আফগানিস্তান

অন্যদিকে, ক্ষমতা দখলের পর থেকেই অর্থ সঙ্কটে ভুগছে তালিবান সরকার, এর জেরেই তারা বিদ্যুতের বিলও মেটাচ্ছে না। বকেয়া অর্থের পরিমাণ এতটাই বেশি হয়ে গিয়েছে যে, যেকোনও দিনই গোটা আফগানিস্তানের বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। ফলে আক্ষরিক অর্থেই অন্ধকারে ডুবতে বসেছে আফগানিস্তান। আফগানিস্তানের আর্থিক সঙ্কটের কারণে বহু বছর ধরেই প্রতিবেশী দেশগুলি অর্থ সাহায্য করে এসেছে। মোট ব্যবহৃত বিদ্যুতেরও ৭৮ শতাংশেরই জোগান দেয় প্রতিবেশী দেশগুলি। বাকি অংশের টাকা মেটাত আফগানিস্তান সরকার। কিন্তু ১৫ অগস্ট ক্ষমতা দখলের পর থেকেই বিদ্যুতের বকেয়া অর্থ মেটাচ্ছে না তালিবান সরকার।

আরও পড়ুন: Kabul Blast: ‘সন্ত্রাস-মুক্ত ভবিষ্যতের অধিকার আছে আফগানদের’, ভয়াবহ বিস্ফোরণের কড়া নিন্দা আমেরিকার 

Next Article