Kabul Blast: ‘সন্ত্রাস-মুক্ত ভবিষ্যতের অধিকার আছে আফগানদের’, ভয়াবহ বিস্ফোরণের কড়া নিন্দা আমেরিকার

কাবুল : আফগানিস্থানে একই সপ্তাহে পরপর তিনটি ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা। গতকাল মসজিদে হামলার ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০০ জনের। শিয়া মসজিদে সেই হামলার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাল আমেরিকা। ওয়াশিংটনের তরফ থেকে প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়েছে, আমেরিকা এই ভয়াবহ বিস্ফোরণের কড়া নিন্দা জানাচ্ছে। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানায় আমেরিকা। মার্কিন স্বরাষ্ট্র সচিব নেড প্রাইস বলেন, সন্ত্রাস মুক্ত ভবিষ্যতের অধিকার রয়েছে আফগানদের।

ইতিমধ্যেই শিয়া মসজিদে ওই হামলার ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট। আত্মঘাতী বিস্ফোরণে অন্তত ১০০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। চলতি সপ্তাহে এটা ছিল আফগানিস্তানের তৃতীয় হামলার ঘটনা। গত বুধবার একটি মাদ্রাসায় হামলা হয় সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দায় স্বীকার করেনি কোনও সংগঠন।

তালিবান ক্ষমতায় আসার পর কাবুলের বিমানবন্দরে ভয়াবহ হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ১৭০ জনের। সেই ঘটনার পর গতকাল ফের আরও এক ভয়াবহ জঙ্গি হামলা। তালিবানের মুখপাত্র জাহিদুল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে তাদের তরফে।

শুক্রবারের নমাজের সময় একটি শিয়া মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটে। এই দিনটির নমাজ মুসলিমদের জন্য সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কুন্দুজ় প্রদেশের রাজধানীতেই বাড়ি স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জালমাই আলোকজ়াইয়ের। বিস্ফোরণের পরই তিনি ছুটে যান হাসপাতালে। যদি জখমদের কারও রক্তের দরকার পড়ে… তাই আর দেরি করেননি ওই আফগান নাগরিক। সবাইকে হয়ত চেনেনও না তিনি। কিন্তু সহনাগরিক তো! তাই ঘরে বসে থাকতে পারেননি জালমাই। সংবাদ সংস্থা এএফপিকে তিনি ঘটনার ভয়াবহতার কথা তুলে ধরেন। বলেন, আমি ৪০ টিরও বেশি মৃতদেহ দেখেছি। অ্যাম্বুলেন্সগুলি হাসপাতাল থেকে আবার বিস্ফোরণস্থলে ফিরে যাচ্ছিল আরও দেহ নিয়ে আসার জন্য।”

ডক্টরস উইদআউট বর্ডার্সের এক কর্মীও জানান, শ’য়ে শ’য়ে মানুষ হাসপাতালের গেটের বাইরে জড় হয়েছেন। তাঁদের অনেকেই হাসপাতালে ভরতি। কাছের মানুষটা কেমন আছে, জানতে ভিড় করেছেন হাসপাতালের বাইরে। কান্নাকাটি আওয়াজ চারিদিকে। স্বজনহারাদের আর্তনাদ। আর সশস্ত্র তালিবান যোদ্ধারা গেটের বাইরে ভিড় নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। নতুন করে বিস্ফোরণের আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: Vegan Egg: বাজারে আসছে বিকল্প ডিম, এমন তার গুণ-স্বাদ, বোমকে যাবে মুরগিও

উল্লেখ্য, আফগানিস্তানের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ শিয়া সম্প্রদায় মুসলিম। এদের মধ্যে অনেকেই হাজারা নামে একটি গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। এই জাতিগোষ্ঠীটি বিগত কয়েক দশক ধরে আফগানিস্তানে ব্যাপকভাবে নির্যাতিত হয়েছে। বিস্ফোরণের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু ছবি ও ভিডিয়ো শেয়ার হয়েছে। ভিডিয়োগুলির সত্যতা প্রাথমিকভাবে যাচাই করা হয়নি। তাতে দেখা যাচ্ছে, মসজিদের মেঝেতে বেশ কয়েকটি রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে।

আরও পড়ুন: Instagram Outage: এক সপ্তাহ না কাটতেই ফের বিভ্রাটে ফেসবুক, এবার স্তব্ধ Instagram, Messenger