কাবুল: ফের নতুন ফতোয়া। লিঙ্গ বিভেদকে আরও স্পষ্ট করল তালিবান(Taliban)। আফগানিস্তানে পুনরায় তালিবান রাজ শুরু হতেই আফগান মহিলারা (Afghan Women) ফের কয়েক দশক পিছিয়ে গিয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে স্বাধীনভাবে চলাফেরার অধিকার, সবকিছুর উপরই বিধিনিষেধ আরোপ করেছে তালিবান সরকার। এবার নারী-পুরুষের একসঙ্গে রেস্তরাঁয় বসার উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। আফগানিস্তান(Afghanistan)-র স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, আফগানিস্তানের পশ্চিম হেরাট প্রদেশে এই নতুন ফতোয়া জারি করা হয়েছে।
খারেম প্রেস নামক সংবাদসংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, হেরাট প্রদেশের পুরুষদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে তারা পরিবারের মহিলা সদস্যদের সঙ্গে রেস্তরাঁয় বসে খেতে পারবেন না। তারা স্বামী-স্ত্রী হলেও একসঙ্গে বসতে পারবেন না। তালিবানের ‘প্রোমোশন অব ভার্চু অ্যান্ড প্রিভেনশন অব ভাইস অ্যাপ্লাই’ মন্ত্রকের তরফে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই এই নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে। রেস্তরাঁগুলিতে নারী-পুরুষ একসঙ্গে খেতে গেলেও, রেস্তরাঁর ম্যানেজার তাদের আলাদা টেবিলে বসার নির্দেশ দিচ্ছেন। তালিবান আধিকারিক রিয়াজ়ুল্লাহ সিরাত জানিয়েছেন, শুধুমাত্র রেস্তরাঁই নয়, পার্কগুলিতেও একই নিয়ম কার্যকর করা হবে। মহিলা ও পুরুষদের আলাদা দিনে পার্কে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। মহিলারা বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার পার্কে যেতে পারবেন। বাকি দিনগুলি আফগান পুরুষেরা শরীর চর্চার জন্য পার্কে যেতে পারবেন।
এর আগে সম্প্রতিই তালিবান প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছিল যে মহিলাদের এবার থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হবে না। গত সপ্তাহেই তালিবান প্রশাসন নির্দেশ দেওয়া হয় যে, বাড়ির বাইরে বেরতে হলে মহিলাদের আপাদমস্তক বুরখায় মুড়ে ফেলতে হবে। মার্চ মাসে মহিলা ও পুুরুষদের একসঙ্গে বিনোদন পার্কে যাওয়ার উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
গত বছরের অগস্ট মাসে তালিবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করার পর থেকেই মহিলাদের উপরে এই ধরনের নানা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পশ্চিমী দেশগুলির তরফে সম্প্রতিই বিবৃতি প্রকাশ করে তালিবান সরকারের এই সিদ্ধান্তের তুমুল সমালোচনা করা হয়। আফগান মহিলাদের মানবাধিকার কেড়ে ফেলা হচ্ছে বলেও দাবি করা হয়।