সিরাজগঞ্জ : স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাধারণত পাঠদানের জন্যই নিয়োগ করা হয়ে থাকে। অন্তত স্বাভাবিক নিয়ম তাই বলে। ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদানই তাঁদের মূল দায়িত্ব এবং কর্তব্য। কিন্তু সেই দায়িত্বে যদি অবহেলা হয় তাহলে কঠোর শাস্তি থাকে কপালে। এমনটাই হল বাংলাদেশের বেশ কিছু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে। অভিযোগ উঠেছে, ক্লাস বন্ধ রেখে উকুন বাচ্ছিলেন শিক্ষিকারা। উকুন বাছা ছাড়াও ক্লাসের সময় তাঁরা একজন অপর জনের বেণি বাঁধারও অভিযোগ উঠেছে তাঁদের মধ্যে। এছাড়াও বিভিন্ন কারণে পাঠদানের অবহেলার অভিযোগ উঠেছে এই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে। শাস্তি হিসেবে মিলেছে বদলি।
পাঠদানে অবহেলার অভিযোগে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার বেশ কিছু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে একযোগে বদলি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গতকাল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তারের মহাপরিচালক (ডিজি) এই এ বদলির আদেশ দিয়েছেন বলে বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রায় আট জন শিক্ষক-শিক্ষিকে এই বদলির নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের উল্লাপাড়ার বিদ্যালয় থেকে সিরাজগঞ্জ ও নাটোর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বদলি করা হয়েছে।
এদিকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান শিক্ষকসহ মোট ১০ জন শিক্ষককে কারণ জানানোর জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। উল্লেখ্য, উল্লাপাড়ায় ২৭৮ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। গত ৭ এবং ৯ এপ্রিল উল্লাপাড়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এর মধ্য়ে কয়েকটি বিদ্যালয় পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন, সকাল ১০ টার পরও একাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা বিদ্যালয়ে এসে পৌঁছোননি। উপজেলার রানীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্য়ালয়ে দেখা যায় আরেক ছবি। এক শিক্ষিকা অপর এক শিক্ষিকার চুলের বেণি বেঁধে দিচ্ছেন। কোনও বিদ্যালয়ে আবার দেখা যাচ্ছে যে এক শিক্ষিকা অপর শিক্ষিকার মাথার উকুন বেছে দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন : Pakistan Crisis: গদি গেলেও যায়নি মাটি! সমীক্ষায় ইমরান খানকে নিয়ে উঠে এল অবাক করা তথ্য