ইথিওপিয়া: ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পড়ে রয়েছে কয়েক হাজার টাকা। এদিকে অ্যাকাউন্টে টাকা তুলতে গিয়ে দেখলেন, যত খুশি টাকা তোলা যাচ্ছে। এমনব সুযোগ কি আর হাতছাড়া করা যায়? কেউ ১ লাখ তো কেউ ১০ লাখ, যে যত পারলেন টাকা তুলে নিলেন। মাথায় হাত ব্যাঙ্কের, কারণ এভাবেই তোলা হয়েছে ৩২৩ কোটি ৪০ লক্ষ ২০ হাজার টাকা! খোয়ানো এই টাকা উদ্ধার করতেই ল্যাজে-গোবরে অবস্থা ব্যাঙ্কের।
ঘটনাটি ঘটেছে ইথিওপিয়ার সবথেকে বড় ব্যাঙ্ক, কমার্শিয়াল ব্যাঙ্ক অব ইথিওপিয়ায়। তারা জানিয়েছেন, প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে গ্রাহকরা তাদের অ্যাকাউন্টে থাকা টাকার তুলনায় বেশি টাকা তুলে ফেলতে পারছেন। এইভাবে ব্যাঙ্ক আনুমানিক ৪০ মিলিয়ন ডলার খুইয়েছে, ভারতীয় মুদ্রায় যার অঙ্ক ৩২৩ কোটি ৪০ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। এখন ব্যাঙ্কের তরফে সেই টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ইউনিভার্সিটির পড়ুয়ারাই প্রথম এই প্রযুক্তিগত সমস্যা টের পায় এবং তার সুযোগ নিয়েই লক্ষ লক্ষ বা কোটি টাকাও তুলে নিয়েছে। এখনও অবধি সঠিক অঙ্কটা জানা না গেলেও, ব্যাঙ্ক সূত্রে খবর, প্রযুক্তিগত সমস্যা চলাকালীন কমপক্ষে ৫ লক্ষ আর্থিক লেনদেন হয়েছে। যারাই বুঝতে পেরেছেন যে সমস্যা হচ্ছে, তারাই বেশি বেশি টাকা তুলে নিয়েছেন।
ইথিওপিয়ার সরকারি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এটা কোনও সাইবার হামলা নয়। হঠাৎই কোনও কারণে ব্যাঙ্কিং সিস্টেম বন্ধ হয়ে যায় কয়েক ঘণ্টার জন্য। এরফলে টাকা তোলা যাচ্ছিল না। এটিএমগুলির সামনে লম্বা লাইন পড়ে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই বেশ কিছু এটিএম কাজ করতে শুরু করে এবং সেখান থেকে অ্যাকাউন্টে থাকা টাকার থেকেও বেশি টাকা তুলে ফেলা যাচ্ছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে।
জিম্মা ইউনিভার্সিটি ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির কয়েকজন পড়ুয়া এই সুযোগ পেয়েই লাখ লাখ টাকা তুলে নেয়। বাকি পড়ুয়াদেরও ব্যাঙ্কের এই গরমিলের কথা জানায়। অধিকাংশই বিশ্বাস না করলেও, কয়েকজন যখন গিয়ে ক্যাম্পাসের এটিএম থেকে বেশি টাকা তোলার চেষ্টা করে এবং সত্যিই সেই টাকা উঠেও আসে, তখন বাকিরাও হুড়োহুড়ি শুরু করে টাকা তোলার জন্য। শেষে পুলিশ গিয়ে পড়ুয়াদের আটকায়। এখন ব্য়াঙ্ক ওই সময়ে হওয়া ট্রানজাকশন খতিয়ে দেখছে এবং সেই লেনদেন ট্রাক করে টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করছে।