বেজিং: তাইওয়ান নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে আমেরিকা-চিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। এবার আমেরিকা বিরুদ্ধে হুমকির সুর শোনা গেল চিনের গলায়। বুধবার বেজিং জানিয়েছে, মার্কিন হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি দুই দেশের উত্তেজনার মধ্য যদি তাইওয়ান সফরে যান, তবে তার ‘পরিণাম’ ভুগতে হবে। সাংবাদিক বৈঠকে চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, “আমরা সব রকমভাবে পেলোসি তাইওয়ান সফরের বিরোধিতা করছি। তাইওয়ান নিয়ে আমেরিকা যদি চিনের সীমান্তকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে তবে তাঁর পরিণতি ভোগ করতে হবে।” গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র তাইওয়ান সব সময়ই চিনের আগ্রাসী নীতি ও রক্তচক্ষুর মধ্যে থাকে। স্বশাসিত এই দ্বীপরাষ্ট্রটিকে চিন নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে দাবি করে। বেজিংয়ের তরফে একাধিকবার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যে তাইওয়ান দখলে প্রয়োজন হলে বল প্রয়োগ করা হবে।
স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ানের সম্ভাব্য সফরের ওপর এখনও সিলমোহর দেয়নি মার্কিন প্রশাসন। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের আশঙ্কা এই সফর বাস্তবায়িত হলে চিনের সঙ্গে তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রভাবিত হতে পারে এবং উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। চলতি বছরের শেষে চিনের ইতিহাসে সর্বশক্তিশালী নেতা চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং দলীয় বৈঠকের মধ্যে নিজের স্থান আরও বেশি শক্তপোক্ত করতে চাইছেন, ঠিক সেই সময় তাইওয়ান নিয়ে আমেরিকা-চিন টানাপোড়েন নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
গত সপ্তাহেই পেলোসি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘আমাদের জন্য তাইওয়ানকে সমর্থন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ অন্যদিকে মার্কিন কংগ্রেস তাইওয়ানের স্বাধীনতার জন্য চাপ দেওয়ার পক্ষেই ছিল। প্রথম থেকে তাইওয়ানকে সমর্থনের কথা জানিয়েছিল চিন। উল্লেখ্য, গত মাসেই তাইওয়ানে যুদ্ধ শুরু করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল চিন। আগামী দিনে তাইওয়ান নিয়ে দুই দেশের বিরোধ কোন দিকে যায়, সেটাইউ