মস্কো: বেশ কয়েকদিন ধরেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে রহস্য ঘনাচ্ছিল। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল পুতিন শারীরিকভাবে অত্যন্ত অসুস্থ, এমনকী বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তাঁর ক্যানসারের জল্পনাও ছড়িয়ে পড়েছিল। শনিবার অসুস্থতার তত্ত্বকে আরও জোরাল করে রুশ প্রেসিডেন্টের সরকারি আবাসনে ছুটে গেলেন একদল চিকিৎসক। রাশিয়ান এক টেলিগ্রাম চ্যানেলকে উদ্ধৃত করে ইন্ডিপেনডেন্টে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্টের হঠাৎ করে ‘তীব্র বমি বমি’ ভাব অনুভূত হওয়ার কারণে চিকিৎসকদের খবর দেওয়া হয়েছিল। জানা গিয়েছে, ৩ ঘণ্টা ধরে পুতিন অসুস্থ বোধ করছিলেন, গোটা সময়টাই চিকিৎসকরা সবরকম ভাবে তাঁকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করেছিলেন। ৩ ঘণ্টা পর তাঁর স্বাস্থ্য স্থিতিশীল হওয়ার পর প্রেসিডেন্টের বাসভবন থেকে বেরিয়ে আসেন চিকিৎসকরা। ওই টেলিগ্রাম চ্যালেন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২২ জুলাই শুক্রবার রাতে এবং ২৩ জুলাই হঠাৎ করে রুশ প্রেসিডেন্টের স্বাস্থ্যে অবনতি হয়েছিলেন এবং রাত ১টা নাগাদ চিকিৎসককে ডেকে পাঠানো হয়েছিল।
টেলিগ্রাম চ্যানেলের দাবি, “পুতিন মারাত্মক বমি বমিভাবের কথা জানিয়েছিলেন। ২০ মিনিট পর প্রেসিডেন্টের দেখভালের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক মারফত খবর পেয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ৩ ঘণ্টা ধরে রাশিয়ান প্রেসিডেন্টের চিকিৎসা চলছিল। পুতিনের অবস্থার উন্নতি হওয়ার পর তারা রাষ্ট্রপতির বাড়ি থেকে বাইরে বেরিয়ে এসেছিল।” ইন্ডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, রাশিয়ান ফরেন ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসেসের প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট জেনারেল “ভিক্টর মিখাইলোভিচ” ছদ্মনামে ওই চ্যানেলটি পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর কয়েকদিন পর থেকে পুতিনের অসুস্থতার কথা নিয়ে গোটা বিশ্বে আলোচনা শুরু হয়েছিল। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছিল পুতিনের ক্যানসার অথবা পার্কিনসন ডিজিজ হয়েছে। তার ঠিক পরে বিভিন্ন বৈঠক বা অনুষ্ঠানে পুতিনকে কাঁপতে অথবা অসংযত অবস্থায় দেখা গিয়েছিল। যদিও ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে পুতিনের শারীরিক জল্পনার যাবতীয় সম্ভাবনা খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল। পুতিনের আদৌ কী কী শারীরিক সমস্যা রয়েছে, তা কোনওভাবেই সরকারি তরফে প্রকাশ করা হয়নি। আগামী দিন এই নিয়ে ক্রেমলিন কোনও বিবৃতি দেয় কি না, সেটাই এখন দেখার।