ঢাকা: দিনে দিনে যেন আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে বাংলাদেশ। এবার এক কারখানার মালিককে খুন করে কারখানাতেই পুঁতে রাখার অভিযোগ উঠল কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, এ ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশের প্রাণ কেন্দ্র ঢাকায়। রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে নিজের কারখানার মেঝেতেই মাটি চাপা দেওয়া হয়েছিল ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি আলমের দেহ। তা উদ্ধার হতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে শহরে।
সূত্রের খবর, প্রায় চারদিনের বেশি সময় ধরে নিখোঁজ ছিলেন ওই শিল্পপতি। নিখোঁজ হয়েছিলেন কামরাঙ্গীরচরের হাসান নগর থেকে। খোঁজ করছিল পরিবারের লোকজন। কিন্তু, দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও খোঁজ না মেলায় কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার। তারপর থেকে খুঁজছিল পুলিশও। কিন্তু, কোথাও তাঁর খোঁজ মেলেনি। অবশেষে এদিন মঙ্গলবার নিজের কারখানা থেকেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ ইতিমধ্যেই এ ঘটনায় সম্রাট, মিরাজ হোসেন এবং মহম্মদ রিফাত নামে তিন ব্যক্তিকে আটক করেছে। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে কারখানার ভিতরেই জুয়ার আসর বসিয়েছিলেন কর্মচারীরা। তা দেখে বাধা দেন আলাম। তখনই মারমুখী কর্মচারীদের হাতে পড়ে যান তিনি। মারের চোটে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। তারপর কারখানার কর্মীরা তাঁকে সেখানেই মাটি চাপা দিয়ে দেন। কামরাঙ্গীরচর থানার তদন্তকারী আধিকারিক লুৎফুর রহমান জানাচ্ছেন, যাঁদের আটক করা হয়েছে তাঁরা সকলেই কারখানার কর্মচারী।