AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Tuberculosis Patient: যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা করাতে নারাজ, মহিলার বিরুদ্ধে জারি গ্রেফতারি পরোয়ানা

যক্ষা আক্রান্ত রোগীর স্পর্শে কেউ এলে বা তাঁর গামছা, তোয়ালে ব্যবহার করলে এবং একসঙ্গে খাবার খেলে সেও যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

Tuberculosis Patient: যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা করাতে নারাজ, মহিলার বিরুদ্ধে জারি গ্রেফতারি পরোয়ানা
প্রতীকী ছবি।
| Edited By: | Updated on: Mar 06, 2023 | 8:21 PM
Share

ওয়াশিংটন: এক বছর ধরে যক্ষ্মা রোগে ভুগছেন। তা সত্ত্বেও কোনও চিকিৎসা করাননি। এমনকি নিজেকে আইসোলেটও করেননি। এই অপরাধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হল এক মার্কিন মহিলার বিরুদ্ধে। যক্ষ্মা ছড়ানোর অভিযোগেই তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে মার্কিন আদালত।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যক্ষ্মা ছড়ানোয় অভিযুক্ত ওই মহিলা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের বাসিন্দা। তবে তাঁর নাম স্পষ্ট করেনি ট্যাকোমা-পিয়ার্স কাউন্ট্রি স্বাস্থ্য দফতর। আদালতের নথিতে সংক্ষেপে তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়েছে, ভি.এন। স্বাস্থ্য দফতরের অভিযোগের প্রেক্ষিতেই ওই মহিলার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ট্যাকোমা-পিয়ার্স কাউন্ট্রি আদালতের বিচারক। এবার জোর করে তাঁকে চিকিৎসা করাতে আর কোনও বাধা রইল না।

ট্যাকোমা-পিয়ার্স কাউন্ট্রির স্বাস্থ্য আধিকারিক নাইজেল টার্নার এক বিবৃতিতে জানান, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আমরা ওই মহিলার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং তাঁকে চিকিৎসা দেওয়ার ব্যাপারে, ওষুধ খাওয়ানোর ব্যাপারে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু, তিনি কোনভাবে রাজি হননি। তাই তার বিরুদ্ধে। তবে এবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাঁকে জোর করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে, চিকিৎসা করাতে এবং আইসোলেশনে পাঠাতে পারেন।

ট্যাকোমা-পিয়ার্স কাউন্ট্রি আদালতের বিচারক ওই মহিলার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে জানান, ওই মহিলা একজন সক্রিয় যক্ষা রোগী। তাঁর এই রোগের সংক্রমণ ব্যাপারে সচেতন হওয়া উচিত। কিন্তু কেন তিনি কোনরকম চিকিৎসা করাতে রাজি হননি তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও ওই মহিলার আইনজীবী তাঁর পক্ষে সওয়াল করে আদালতে জানিয়েছেন, ভি.এন তাঁর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সঠিক জানতেন না।

প্রসঙ্গত, যক্ষা হল সংক্রামক রোগ। তাই অবিলম্বে এই রোগের চিকিৎসা করানো জরুরি এবং রোগীর আলাদা থাকা উচিত। না হলে যক্ষা আক্রান্ত রোগীর স্পর্শে কেউ এলে বা তাঁর গামছা, তোয়ালে ব্যবহার করলে এবং একসঙ্গে খাবার খেলে সেও যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হতে পারে। অর্থাৎ যক্ষ্মা রোগীর থেকে সহজেই তাঁর পরিবারের সদস্য বা অন্য আরও অনেকের মধ্যে এই রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। তবে সঠিক সময়ে যক্ষ্মা রোগের ঠিকমতো চিকিৎসা হলে রোগী সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। তিন থেকে নয় মাসের মধ্যেই যক্ষ্মী রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (CDC) সূত্রে খবর।