Miracle Child: ধ্বংসস্তূপের নীচে ছিল ১২৮ ঘণ্টা, ৫৪ দিন পর মায়ের কোলে ‘মিরাকল শিশু’

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sukla Bhattacharjee

Apr 03, 2023 | 11:28 PM

৫৪ দিন পর ডিএনএ পরীক্ষার পরে আবার মায়ের সঙ্গে মিলিত হয়েছে মিরাকল শিশুটি।

Miracle Child: ধ্বংসস্তূপের নীচে ছিল ১২৮ ঘণ্টা, ৫৪ দিন পর মায়ের কোলে মিরাকল শিশু
তুরস্কের বিস্ময়কর শিশু খুঁজে পেল মা-কে।

Follow Us

আঙ্কারা: রাখে হরি তো মারে কে! তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু, ১২৮ ঘণ্টা ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা থাকার পরেও জীবিত উদ্ধার হয়েছিল দু-মাসের শিশু। যা দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিল গোটা বিশ্ব। শিশুটি উদ্ধার হলেও তার পরিবারের হদিশ এতদিন মেলেনি। অবশেষে খুশির সংবাদ মিলল। বিধ্বংসী ভূমিকম্প শিশুটিকে অনাথ করে দেয়নি। তার মা জীবিত রয়েছে। ৫৪ দিন পর পুনরায় মায়ের কোল ফিরে পেয়েছে শিশুটি। সোমবার টুইট করে খবরটি জানিয়েছেন ইউক্রেনের মন্ত্রী অ্যান্তোন গেরাসচেনকো। তুরস্কের একটি সংবাদ সংস্থার তরফেই খবরটি প্রকাশ্যে এসেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

টুইটে ঠিক কী জানিয়েছেন ইউক্রেনের মন্ত্রী?
ইউক্রেনের মন্ত্রী অ্যান্তোন গেরাসচেনকো সেই বিস্ময়কর শিশুর ছবি টুইটারে পোস্ট করে লিখেছেন, “এই শিশুটির ছবিটি সম্ভবত সকলের মনে আছে, যে তুরস্কে ভূমিকম্পের পরে ১২৮ ঘণ্টা ধ্বংসস্তূপের নীচে কাটিয়েছিল। জানা গিয়েছিল যে শিশুটির মা মারা গিয়েছেন।

তুরস্কের একটি সংবাদ সংস্থাকে কৃতিত্ব দিয়ে গেরাসচেনকো আরও লিখেছেন, “দেখা যাচ্ছে যে, শিশুটির মাও বেঁচে আছেন! একটি অন্য হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা করানো হয়েছিল। ৫৪ দিন পর ডিএনএ পরীক্ষার পরে তারা আবার মিলিত হয়েছে।”

ইউক্রেনের মন্ত্রীর এই টুইটটি বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। নেটিজেনদের শুভেচ্ছায় ভরে উঠেছে কমেন্ট বক্স। এই ঘটনা ‘মিরাকল’ বলে আখ্যা দিয়েছেন নেটিজেনরা। বিস্ময়কর শিশুটি পুনরায় তার মা-কে ফিরে পাওয়ায় খুশি সকলেই।

প্রসঙ্গত, গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে প্রবল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল তুরস্কে ও সিরিয়া সীমান্ত। রিখটার স্কেলে ওই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.৮। ভয়াবহ ওই ভূমিকম্পে ঘুমের মধ্যেই মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। ধসে পড়েছে বহু বাড়ি। তারপর এই ভূমিকম্পের রেশ কাটতে না কাটতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরও চারবার কেঁপে ওঠে মধ্যপ্রাচ্যের এই দুই দেশ। বহুবার অনুভূত হয় আফটার শক। তারপর উদ্ধারকাজ যত এগোয়, ততই মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকে। বলা যায়, মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয় এই দুটি দেশ। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। টানা ১৪ দিন ধরে দিন-রাত এক করে উদ্ধারকাজ চালানোর পর জানা যায়, দুই দেশে প্রায় ৪০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় এবং ৬ হাজার বাড়ি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ১৯৩৯ সালের পর এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প ছিল।

Next Article