লন্ডন: ব্রিটেনই (UK) প্রথম অনুমোদন দিয়েছিল ফাইজ়ারের করোনা প্রতিষেধককে। সেখানেই প্রথম শুরু হয়েছিল ফাইজ়ার টিকার বিতরণ। কিন্তু টিকা আসার পরেও সংক্রমণের গতিতে তার কোনও প্রভাব নেই। বরং আরও বেশি করে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। তাই করোনা সতর্কতা বাড়াতে তিন দফার বিধি নিষেধে আরও কড়াকড়ি করছে সে দেশের সরকার।
রেস্তরাঁ, পানশালা, থিয়েটারে জমায়েত বন্ধ। সর্বোচ্চ ৬ জনের জমায়েতের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না লন্ডনের (London) রাস্তায়। সংসদে স্বাস্থ্য সচিব ম্যাট হ্যানক জানিয়েছেন, যেভাবে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা বাড়ছে সেখানে এই বিধি নিষেধ প্রয়োগ করা অত্যন্ত আবশ্যক। প্রত্যেক ৭ দিনে দ্বিগুণ হচ্ছে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা। স্বাস্থ্য সচিব এ-ও জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে টিকাকরণ শুরুতে করোনা মুক্তির যে আশা দেখা গিয়েছিল। সেখানে এই ঘটনা বিপরীত। আগে টায়ার-২ সতর্কতা থাকলেও সোমবারই টায়ার-৩ সতর্কতা জারি হয়েছে। যেখানে অনাবশ্যক পণ্যের দোকান সম্পূর্ণ বন্ধ।
সামনেই বড়দিন। সেক্ষেত্রে ৫ দিনের জন্য কড়াকড়ি কম করার কথা ভাবছে সে দেশের সরকার। তবে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের মতে উৎসবের মরসুমে কড়াকড়ি কম করলে অনেক জীবন ঝুঁকির সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস আধিকারিকদের মতে উৎসবের মরসুমে জার্মানি বা ইতালির মতো আরও বেশি কড়াকড়ির পথে হাঁটা উচিত বরিস প্রশাসনের।
আরও পড়ুন: বাইডেনকে শুভেচ্ছা মস্কোর, একসঙ্গে কাজ করার বার্তা পুতিনের
গতকালই ব্রিটেনের গবেষকরা দাবি করেছিলেন, অভিযোজিত এক নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের ফলেই লন্ডনে দ্রুত ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। যদিও সেই ধারণায় সিলমোহর দেয়নি সরকার। প্রসঙ্গত, ব্রিটেনে ইতিমধ্যেই ১৯ লক্ষ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছেন ৬৫ হাজারেরও বেশি মানুষ।