লন্ডন : আগেই বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। এইবার তা জরিমানা অবধি গড়াল। তখন দেশে করোনা সংক্রমণ। জারি রয়েছে লকডাউন বিধি। সেই লকডাউনের মধ্যেই পার্টি করার জন্য ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও রাজস্ব মন্ত্রী ঋষি সুনাককে জরিমানা করা হচ্ছে। লন্ডন পুলিশের তরফে তাঁদেরকে এই জরিমানার কথা জানানো হয়েছে। জনসনের দফতর একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, মঙ্গলবার মেট্রোপলিটন পুলিশ ব্রিটেনের এই দুই প্রভাবশালী নেতাকে জরিমানার কথা বলেছে। এর বাইরে আর কোনও তথ্য নেই বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। জরিমানার অঙ্কের কথা জানিয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশ একটি নোটিশ পাঠাবেন বলে জানা গিয়েছে।
বিশ্ব জুড়ে তখন কোভিডের ছায়া। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সেইসময় করোনা সংক্রমণ রুখতে ব্রিটেনে জারি ছিল লকডাউন। সেই কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও বাসভবন ১০ নম্বর ডাইনিং স্ট্রিটে কয়েক দফায় পার্টির আয়োজন করা হয়। সেই থেকেই বিতর্কে জড়ান বরিস। কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও বরিস যে সময় তাঁর সহযোগীদের নিয়ে পার্টিতে মজে ছিলেন সেই সময় অন্যান্য সাধারণ মানুষের জন্য একসঙ্গে সমবেত হওয়া ছিল কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। তাই দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভুল কাজে তাঁকে জরিমানায় জনসাধারণের মধ্যে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তুলে ধরবে। এদিকে বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা কেউর স্টার্মার বলেছেন যে, এর জরিমানার ফলে প্রমাণ হয়েছে যে এই দুই ব্যক্তি ক্রমাগত ব্রিটিশ জনগণের কাছে মিথ্য়ে বলে গিয়েছেন।
উল্লেখ্য, লকডাউনের বিধিনিষেধ শিকেয় তুলে বরিসের পার্টির আয়োজনকে কেন্দ্র করে গদি হারানোর মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল দেশে। তাঁর নিজের দলেরই একাধিক সাংসদ তাঁর পদত্যাগের দাবি তুলেছিলেন। তবে বরিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে তাঁকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেও তিনি বারংবার সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন যে তিনি নিশ্চিত করেছিলেন যাতে কোনও কোভিডবিধি ভঙ্গ না হয়। তিনি স্বীকার করে নিয়েছিলেন যে তিনি জমায়েতে যোগ দিয়েছিলেন। তবে তার সঙ্গে এটাও জানিয়েছেন যে সেটি একটি কাজের জন্য জময়েত ছিল।
আরও পড়ুন : Shahbaz Sharif : ভারতের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক চায় পাকিস্তান : শাহবাজ়