কিয়েভ: যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছিল আমেরিকা-ব্রিটেনের মতো পশ্চিমী দেশে। যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝেই এবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জ়েলেনস্কির সঙ্গে দেখা করতে গেলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। শনিবারই তিনি কিয়েভে গিয়ে সামরিক সাহায্যের আশ্বাস দেন। যুদ্ধের শুরু থেকেই সামরিক সাহায্য চেয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। আমেরিকা ও ইউরোপের একাধিক দেশের কাছ থেকে ইতিমধ্যেই সামরিক সাহায্যও পেয়েছেন তিনি। এবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও একবিংশ শতাব্দীর সবথেকে আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র, যেমন যুদ্ধে ব্যবহৃত সাঁজোয়া গাড়ি ও অ্যান্টিশিপ মিসাইল দিয়ে সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জ়েলেনস্কির সঙ্গে দেখা করার পরই ব্রিটেনের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়, “প্রেসিডেন্ট জ়েলেনস্কির নেতৃত্ব ও সাহসিকতার জন্যই ইউক্রেনের মানুষেরা পুতিনের শয়তানি লক্ষ্যের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন”। জানা গিয়েছে, বরিস জনসন ১২০টি সাঁজোয়া গাড়ি ও নতুন অ্যান্টি-শিপ মিসাইল সিস্টেমের মতো অত্যাধুনিক সামরিক অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন। রাশিয়া বেআইনিভাবে যে হামলা চালাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের লড়াইয়ে সর্বসম্মতভাবে সাহায্য করা হবে বলেই জানানো হয়েছে। এর আগেও ব্রিটেনের তরফে ৮০০টি অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল, ড্রোন দিয়েও সাহায্য করা হয়েছিল।
যুদ্ধে সামরিক সাহায্যের পাশাপাশি বিভিন্ন শক্তিধর দেশগুলি ইউক্রেনকে অর্থসাহায্যও করছে ধ্বংসস্তূপ থেকে দেশকে পুনরুদ্ধারের জন্য। গতকাল জ়েলেনস্কির সঙ্গে দেখা করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও বিশ্ব ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ৫ হাজার কোটি ডলার অর্থ সাহায্য করার আশ্বাস দেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে হঠাৎ দেখা করার পরিকল্পনা করেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। জ়েলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাতের পর বরিস জনসন জানান, সরাসরি জ়েলেনস্কির সঙ্গে দেখা করতে পেরে তিনি নিজেকে ধন্য মনে করছেন। ইউক্রেন যেভাবে সমস্ত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করে রাশিয়ার সেনাবাহিনীকে কিয়েভের দোরগোড়া থেকেই ফেরত পাঠিয়েছে, তা একবিংশ শতাব্দীর সবথেকে বড় সামরিক সাফল্য। এই যুদ্ধে এবং আগামিদিনেও ইউক্রেনের পাশেই থাকবে ব্রিটেন, এমনটাই জানান বরিস জনসন।
আরও পড়ুন: Shehbaz Sharif: দেশ ছেড়েছিলেন সেনা শাসনের সময়, ইমরানের উত্তরসূরী শাহবাজকে চেনেন?