লন্ডন: প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হয়েই কাজে নেমে পড়লেন ঋষি সুনক। দীপাবলির দিনই ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নাম ঘোষণা করা হয় তাঁর। আগামী ২৮ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুনক। এরই আগে এক ঝাঁক মন্ত্রীকে পদ থেকে ছাঁটাই করলেন ঋষি সুনক। সেইসঙ্গে লিজ ট্রাসের সময় বাদ যাওয়া এবং ইস্তফা দেওয়া বেশ কয়েকজনকে মন্ত্রিসভায় ফেরালেন তিনি।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নাম ঘোষণার পর, রাজা চার্লস তৃতীয়ের সঙ্গে দেখা করার আগে ঋষি সুনক জানিয়েছিলেন, এক মুহূর্তও সময় নষ্ট না করে, কাজ শুরু করবেন তিনি। সেই কথাই রাখলেন তিনি। এক ঘণ্টার মধ্যে লিজ ট্রাসের মন্ত্রিসভার একাধিক মন্ত্রীকে পদ ছাড়ার নির্দেশ দিলেন তিনি। আবার যারা মন্ত্রিসভা ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন, তাদের মধ্যেও বেশ কয়েকজনকে ফিরিয়ে আনলেন তিনি। ব্রিটেনের নয়া উপপ্রধানমন্ত্রীর আসনে ঋষি সুনক বসালেন ডমিনিক রাবকে। বরিস জনসনের আমলেও উপপ্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছিলেন রাব। অর্থমন্ত্রী পদেও ফিরিয়ে এনেছেন জেরেমি হান্টকে। ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী বাণিজ্যমন্ত্রকের দায়িত্ব দিয়েছেন গ্রান্ট শ্যাপসকে। নিজের মন্ত্রিসভায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুয়েলা ব্রেভারমানকেও ফিরিয়ে এনেছেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি। লিজ ট্রাসের সঙ্গে মতপার্থক্যের জেরে গত ২০ অক্টোবর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন সুয়েলা।
সূত্রের খবর, এখনও অবধি চারজন মন্ত্রীকে পদ ছাড়তে বলেছেন ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। তারা হলেন বাণিজ্য সচিব জেকব রিস মগ, আইন সচিব ব্রান্ডন লুইস, পেনশন সচিব ক্লোয়ি স্মিথ ও উন্নয়ন মন্ত্রী ভিকি ফোর্ড। পুরনো মন্ত্রীদের মধ্যে যাদের ফিরিয়ে আনছেন সুনক, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন ডমিনিক রাব। উপপ্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ছাড়াও সেক্রেটারি অব স্টেট ফর জাস্টিসের দায়িত্বও দেওয়া হবে তাঁকে। জেরেমি হান্টকে ফের অর্থমন্ত্রী পদেই নিয়োগ করা হবে বলে জানানো হয়েছে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে।
ভারতীয় বংশোদভূত সুয়েল্লা ব্রেভারম্যান, যিনি লিজ ট্রাসের মন্ত্রীসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন, কিন্তু মতবিরোধের কারণে গত ২০ অক্টোবর ইস্তফা দিয়েছিলেন, তাঁকেও মন্ত্রিসভায় ফিরিয়ে এনেছেন ঋষি সুনক। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সেক্রেটারি অব স্টেট পদে দায়িত্ব পালন করবেন।