কিয়েভ: মানা হয়নি যুদ্ধবিরতি (Ceasefire), ফের ইউক্রেন(Ukraine)-র উপর হামলা শুরু করেছে রাশিয়া (Russia)। মারিউপোল নামক যে শহরে শনিবার মানবিক করিডর তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, কেবল সেখানেই প্রায় ১০ হাজারের বেশি বাসিন্দাদের বন্দি করে রেখেছে রুশ সেনা, এমনটাই দাবি করেছেন সেই শহরের মেয়র। চলতি সপ্তাহেই ইউরোপের সবথেকে বড় পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র জ়াপরঝিয়ায় হামলা চালিয়েছিল রুশ বাহিনী। পরে তা দখলও করে নেয়।এবার রাশিয়ার নিশানা ইউক্রেনের জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রও।
যুদ্ধের একাদশতম দিনেই ইউক্রেনের তরফে দাবি করা হল, রাশিয়ার বাহিনী কানিভ জলবিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কেন্দ্রের উপরে হামলা চালানোর ছক কষছে। রাজধানী কিয়েভ থেকে ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত ওই হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার প্ল্যান্টের দিকেই দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে রুশ সেনা।
ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ জানান, রুশ বাহিনী ফের একবার আগ্রাসী রূপ ধরেছে। তারা এবার কানিভ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রও দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যেই ওই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র দখল করে নেওয়ার জন্য রুশ সেনাবাহিনী এগোতে শুরু করেছে। জ়াপরঝিয়ার মতোই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বা চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্র দখল নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
মারিউপোলের মেয়র ভাদিম বয়চেনকোও জানিয়েছেন, গতকাল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর থেকে রাশিয়ার বাহিনী আক্রমণ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। লাগাতার গোলা বর্ষণ করা হচ্ছে। আবাসন লক্ষ্য করে আকাশ থেকে বোমা ফেলা হচ্ছে। শনিবারও শহর ছাড়তে গিয়ে মহিলা, শিশু সহ বহু স্থানীয়.মানুষ রুশ হামলার মুখে পড়েছেন বলে তিনি জানান।
ওই বন্দর শহরে বিদ্যুৎ, জল, খাবার, পরিবহন সহ গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাগুলিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। বন্দর শহরের সঙ্গে বাকি দেশের সংযোগ সম্পূর্ণ ছিন্ন করে দেওয়ার চেষ্টাও চালাচ্ছে বলে অভিযোগ।
মনে করা হচ্ছে, রাশিয়া পরমাণু আক্রমণ চালাতে পারে ইউক্রেনের উপরে। সেই কারণেই জ়াপরঝিয়া পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দখল নিয়েছে তারা। একইসঙ্গে গোটা দেশকে অন্ধকারে ঠেলে দিতেই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলির উপরে হামলা চালানো হচ্ছে লাগাতার। বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে, বাকি পরিষেবাও ব্যহত হবে- এই ছক কষেই হামলা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী।
আরও পড়ুন: Russia-Ukraine Conflict: ‘আকাশ বেদখল হলে আরও রক্ত ঝরবে মাটিতে’, ফের সামরিক সাহায্যের আর্জি ইউক্রেনের