কিয়েভ: ৩৩ দিন পার হয়ে গিয়েছে যুদ্ধের, এখনও আক্রমণ থামায়নি রাশিয়া (Russia)। ধীরে ধীরে অস্ত্র ভাণ্ডার শেষ হয়ে আসছে ইউক্রেনের (Ukraine)। কঠিন পরিস্থিতিতে তাই ফের একবার পশ্চিমী দেশগুলির কাছ থেকে সামরিক সাহায্য চাইলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জ়েলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy)। শনিবার কিছুটা বিরক্তি প্রকাশ করেই তিনি জানান, কিয়েভ অনেকদিন অপেক্ষা করেছে। পশ্চিমী দেশগুলি রাশিয়াকে ভয় পাচ্ছে কিনা, তাও জানতে চান জ়েলেনস্কি।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেবনের উপরে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা করেছিলেন। এরপর থেকেই ইউক্রেনের উপরে চারিদিক থেকে হামলা চালাতে শুরু করেছে রুশ বাহিনী। এদিকে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই একাধিক দেশ ইউক্রেনকে যুদ্ধে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছিল। শনিবার ফের একবার সেই প্রতিশ্রুতি মনে করিয়ে দিয়েই জ়েলেনস্কি মিসাইল, সাঁজোয়া গাড়ি সহ যুদ্ধে ব্যবহৃত বিভিন্ন অস্ত্রের সাহায্য চান।
এর আগেও পশ্চিমী দেশগুলির কাছ থেকে সাহায্য চেয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। সম্প্রতিই তিনি ন্যাটোর কাছে তাদের অস্ত্রভাণ্ডার ও যুদ্ধবিমানের ১ শতাংশ দিয়ে সাহায্য করার আবেদন জানিয়েছিলেন। এদিকে, গত বৃহস্পতিবারই ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডে সফরে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেখানে তিনি ইউক্রেনের মন্ত্রীদের সঙ্গেও দেখা করেন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে কসাই বলে আখ্যা দেন।
আমেরিকা রাশিয়ার সমালোচনা করলেও, তাতে সন্তুষ্ট নন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জ়েলেনস্কি। শনিবারও তিনি পশ্চিমী দেশগুলিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও সাহস দেখানোর কথা বলেন। ট্য়াঙ্কার, যুদ্ধবিমান ও মিসাইল দিয়ে সাহায্যের কথা বলেন। রাষ্ট্রসঙ্ঘের তথ্য অনুযায়ী, এখনও অবধি ৩৮ লক্ষেরও বেশী ইউক্রেনীয়রা যুদ্ধের জেরে দেশছাড়া হয়েছেন।
রবিবার ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা প্রধান কাইরিলো বুডানোভ বলেন, “উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো ইউক্রেনকেও দুই ভাগে ভাগ করার পরিকল্পনা করছে রাশিয়া। সেই কারণেই দখল হওয়া প্রদেশ ও স্বাধীন প্রদেশোর মধ্যে একটা সীমারেখা কাটার চেষ্টা করা হচ্ছে।”