নয়া দিল্লি : করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রায় দুই বছর ধরে বন্ধ স্কুল (Schools Closed)। মাঝে স্কুল খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল কয়েকবার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা বেশিদিন এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন মহল থেকে স্কুল, কলেজগুলি খুলে দেওয়ার দাবি উঠছে। এবার সেই দাবি আরও জোরালো হল ইউনিসেফের (UNICEF) বক্তব্যে। ইউনিসেফের অফিসিয়াল বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কোভিড মহামারীর মধ্যে স্কুলগুলো খোলা রাখুন। ইউনিসেফের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হেনরিয়েটা ফোরের মতে, “কোভিডের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট যেহেতু সারা বিশ্বে ছড়িয়ে রয়েছে, তাই আমরা সরকারগুলিকে তাদের সাধ্য মতো সব কিছু করার জন্য অনুরোধ করছি, যাতে এটি শিশুদের শিক্ষাকে আর ব্যাহত না করে।
উল্লেখ্য এর আগে, ইউনিসেফ একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছিল যে স্কুলগুলি পুনরায় খোলা শিশুদের সর্বোত্তম বিকাশের জন্য এবং তাঁদের সার্বিক উন্নতির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইউনিসেফের ভারতের প্রতিনিধি ইয়াসমিন আলি হকের মতে, “এর জন্য আমাদের একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে।” এছাড়াও, বিশ্বব্যাঙ্কের গ্লোবাল এডুকেশন ডিরেক্টর জেইম সাভেদ্রার মতে, মহামারীর জন্য স্কুলগুলি বন্ধ করে রাখার কোনও যৌক্তিকতা নেই। করোনার নতুন ঢেউ দেখা দিলেও স্কুলগুলি বন্ধ করা শেষ অবলম্বন হওয়া উচিত বলেই মনে করছেন তিনি। “শিক্ষা ক্ষেত্রে বিপর্যয় এড়াতে এবং শিশুদের পড়াশোনার পথে ফিরিয়ে আনতে” স্কুল পুনরায় খোলার জন্য ইউনিসেফের তরফে সুপারিশ করা হয়েছে।
ইউনিসেফের তরফে সব দেশের সরকারগুলিকে বলা হয়েছে, “স্কুল খোলা রাখুন। আনুমানিক ৬১ কোটি ৬০ লাখ শিশু বর্তমানে সম্পূর্ণ বা আংশিক স্কুল বন্ধের দ্বারা প্রভাবিত। ডিজিটাল কানেক্টিভিটি আমাদেরকে নিশ্চিত করতে সাহায্য করে যে কোনও শিশু যেন পিছিয়ে না থাকে। প্রতিটি শিশুকে স্কুলে ফিরে যেতে সক্ষম করার জন্য আমাদের সাহসী পদক্ষেপ করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে প্রতিটি সম্প্রদায়ের প্রান্তিক শিশুদের উপর একটি বিশেষ ফোকাসের ব্যবস্থা। সেই সঙ্গে শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক সহায়তা, যেমন ক্লাস, মানসিক স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি সহায়তা, সুরক্ষা এবং অন্যান্য পরিষেবা।
একইসঙ্গে টিকাকরণ প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে ইউনিসেফের তরফে। বলা হয়েছে, “শিক্ষক এবং স্কুল কর্মীদের অবিলম্বে টিকা দিন। প্রথম সারির স্বাস্থ্যকর্মী এবং ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের টিকা দেওয়ার পরে, শিক্ষক এবং স্কুলের কর্মীদের কোভি়ড ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য সবরকম সাহায্য করা এবং অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।” সেই সঙ্গে আরও বলা হয়েছে, ইউনিসেফ শিশুদের টিকাকরণ প্রক্রিয়াতে সমর্থন করে। তবে আগে যাঁদের অগ্রাধিকার প্রয়োজন, তাদের টিকা দিয়ে দেওয়াই সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে ইউনিসেফ। স্কুলে যাওয়ার জন্য টিকা থাকাটা কোনও শর্ত হিসেবে যাতে আরোপ না করা হয়, সেই কথাও বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন : Bengaluru School Reopening: বেঙ্গালুরুতে খুলছে স্কুল, কর্ণাটক থেকে উঠে যাচ্ছে নৈশকালীন কারফিউ