Bengaluru School Reopening: বেঙ্গালুরুতে খুলছে স্কুল, কর্ণাটক থেকে উঠে যাচ্ছে নৈশকালীন কারফিউ
School Reopening : কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোমাইয়ের নেতৃত্বে রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে একটি বৈঠকের পরে কর্ণাটকের শিক্ষামন্ত্রী বিসি নাগেশ বলেছেন, "সোমবার থেকে, কোভিড যথাযথ আচরণ এবং প্রোটোকল মেনে সমস্ত ক্লাস স্কুলে চালু হবে।"
বেঙ্গালুরু: দক্ষিণের কয়েকটি রাজ্যগুলির করোনার সংক্রমণ গ্রাফ এখনও যথেষ্ট বেশি। সেই তালিকায় রয়েছে কর্ণাটকও (Karnataka)। শুক্রবার সেখানে ৩১ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে এরই মধ্যে ফের স্কুল-কলেজগুলি খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্ণাটক সরকার। এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার থেকে কর্ণাটকে নৈশকালীন কারফিউ (Night Curfew) প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেই সঙ্গে বেঙ্গালুরুতে স্কুল ও কলেজগুলিও (School College Reopening) আবার চালু করে দেওয়া হবে বলে শনিবার জানিয়েছে রাজ্য সরকার। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, কোভিডের কারণে হাসপাতালে ভর্তির হার এখন দুই শতাংশ। সুস্থ হয়ে ওঠার হারও অনেকটা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে, মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোমাইয়ের নেতৃত্বে রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে একটি বৈঠকের পরে কর্ণাটকের শিক্ষামন্ত্রী বিসি নাগেশ বলেছেন, “সোমবার থেকে, কোভিড যথাযথ আচরণ এবং প্রোটোকল মেনে সমস্ত ক্লাস স্কুলে চালু হবে।”
সরকারি অফিসগুলিতে পুরোদমে কাজ
সংশোধিত নির্দেশিকার মধ্যে, সরকারি অফিসগুলি ৫০ শতাংশের পরিবর্তে পূর্ণ কর্মীসংখ্যা নিয়ে কাজ করতে পারবে। এর পাশাপাশি হোটেল, রেস্তরাঁ, ক্লাব, পাব এবং বারগুলিকেও সম্পূর্ণভাবে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এতদিন পর্যন্ত তারা ৫০ শতাংশ মানুষকে নিয়েই কাজ করছিল। তবে থিয়েটার, অডিটোরিয়াম এবং মাল্টিপ্লেক্সে ৫০ শতাংশ নিয়েই কাজ চালিয়ে যেতে হবে। জিম এবং সুইমিং পুলগুলিতেও ৫০ শতাংশ গ্রাহককে নিয়ে কাজ করতে হবে। মেট্রো রেল এবং অন্যান্য গণপরিবহন যত সংখ্যক আসন রয়েছে, সেই আসনক্ষমতা অনুযায়ী চলাচল করবে। বিয়ে বাড়ির ক্ষেত্রে খোলা জায়গায় ৩০০ জন এবং বদ্ধ জায়গায় ২০০ জন অতিথিতে নিয়ে আয়োজন করা যাবে। ধর্মীয় স্থানগুলিকেও ৫০ শতাংশ ভক্ত নিয়ে খোলা যেতে পারে। তবে সামাজিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সমাবেশ, ধর্না, সম্মেলন ও বিক্ষোভের কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি।
হাসপাতালগুলিতে ২৫ শতাংশ বেড করোনা রোগীদের জন্য
কোভিড রোগীদের জন্য বেসরকারি হাসপাতালে ২৫ শতাংশ বেড সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি নন-কোভিড রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য একগুচ্ছ নির্দেশাবলী জারি করা হয়েছে কর্ণাটক সরকারের তরফে। একইসঙ্গে কেরল, মহারাষ্ট্র এবং গোয়ার সীমানায় কঠোর নজরদারি জারি রাখা হবে। উল্লেখ্য, শুক্রবার কর্ণাটকে ৩১ হাজার ১৯৮ জন নতুন আক্রান্তে খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। যা বৃহস্পতিবারের তুলনায় প্রায় সাত হাজার কম। তার মধ্যে কেবল বেঙ্গালুরুতেই প্রায় ৫০ শতাংশ। সেখানে ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। শুক্রবার কর্ণাটকে ৫০ জন করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন : Pegasus Spyware: ইজরায়েলের সঙ্গে ১৫ হাজার কোটির ‘প্রতিরক্ষা চুক্তি’! তাতেই কেনা হয়েছিল পেগাসাস?