TV9 Explained on NeoCov: বাদুড়ে করোনা নিওকোভ কি লাফ দিতে পারে মানব শরীরে? কতটা ভয়ের কারণ হতে পারে নয়া ভাইরাস

New Coronavirus: নিওকোভ কি বাদুড়ের শরীর থেকে মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে? কী বলছেন চিনের উহান প্রদেশের গবেষকরা? তাঁদের বক্তব্য, এই নিওকোভ ভাইরাসটি মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারার মতো ক্ষমতা পেতে দরকার মাত্র একটি মিউটেশন।

TV9 Explained on NeoCov: বাদুড়ে করোনা নিওকোভ কি লাফ দিতে পারে মানব শরীরে? কতটা ভয়ের কারণ হতে পারে নয়া ভাইরাস
নিওকোভ ভাইরাস কতটা উদ্বেগের?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 22, 2022 | 1:08 PM

নয়া দিল্লি : ওমিক্রনের প্রাথমিক ধাক্কা সবে মাত্র সামাল দিয়ে উঠতে শুরু করেছে ভারত। আর এরই মধ্যে নতুন এক করোনা ভাইরাসের আবির্ভাব নিয়ে জোর চর্চা চলছে। নেটদুনিয়ায় হু হু করে ছড়িয়ে পড়ছে ‘নিওকোভ’ (NeoCov Coronavirus) করোনা ভাইরাসের খবর। বলা হচ্ছে, এই নয়া করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে, তাতে প্রতি তিনজন আক্রান্তের মধ্যে একজনের মৃত্যু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু এই ভাইরাসটি এখনও মানুষের শরীরে সংক্রমণ ঘটিয়েছে বলে কোনও খবর নেই বিশ্বে। তবে কীসের ভিত্তিতে এমন ভয়ঙ্কর দাবি করা হচ্ছে? সত্যিই কি এতটা ভয়ঙ্কর নিওকোভ? উল্লেখ্য, এই নতুন ভাইরাসটি দক্ষিণ আফ্রিকায় বাদুড়ের মধ্যে পাওয়া গিয়েছে। এটি কোনও নতুন ভাইরাস নয়। বাদুড়ে শরীরে এই ভাইরাস অনেক আগে থেকেই রয়েছে। এতদিনে আমাদের প্রায় সকলেরই জানা, বাদুড়ের শরীরে এমন অনেক করোনা ভাইরাসের পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু এগুলির মধ্যে সবকটিই যে বাদুড়ের শরীর থেকে মানুষের শরীর লাফ দিতে পারে, তেমনটা নয়। এখন প্রশ্ন হল, নিওকোভ কি বাদুড়ের শরীর থেকে মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে? কী বলছেন চিনের উহান প্রদেশের গবেষকরা? তাঁদের বক্তব্য, এই নিওকোভ ভাইরাসটি মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারার মতো ক্ষমতা পেতে দরকার মাত্র একটি মিউটেশন। তবে সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমগুলিতে যে চিনা গবেষণা পত্রে প্রকাশিত তথ্য দেখানো হচ্ছে, সেই গবেষণা পত্রটির এখনও পিয়র রিভিউ করা হয়নি।

নিওকোভের সঙ্গে অনেকটা মিল রয়েছে মার্স করোনা ভাইরাসের

সাম্প্রতিক কালে নেটদুনিয়ায় যেভাবে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে, তার সঙ্গে গবেষণা পত্রের কথার অনেকটাই ফারাক রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই তার ফলে এক বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। তাহলে আসল সত্যিটা কী? হ্যাঁ, নিওকোভ ভাইরাস পরিবেশে সত্য়িই রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বাদুড়ের শরীরে এই ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, এটাও ঠিক। কিন্তু এটি তো এখনও মানব শরীরে সংক্রমণ ঘটায়নি। তাহলে আতঙ্ক কেন? কারণ, এ ক্ষেত্রে এই ভাইরাসটির সঙ্গে অনেকটাই মিল রয়েছে ২০১২ সালে মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (MERS) সৃষ্টিকারী করোনা ভাইরাসটির সঙ্গে। আর এই মার্সের প্রভাবে আক্রান্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে শ্বাসযন্ত্রের গুরুতর সমস্যা দেখা দেওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থেকে যায়।

চিনা গবেষকরা তাঁদের গবেষণায় দেখেছেন, নিওকোভ ভাইরাসটি বাদুড়ের শরীরে সংক্রমণ ঘটনাতে যে রিসেপ্টরগুলি রয়েছে, তার সঙ্গে মানুষের শরীরে সংক্রমণ ঘটানো সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের অনেকটা মিল রয়েছে। আর সেই কারণেই এই ধরনে একটি পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, এই নয়া ভাইরাসের প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্র কোভিড টাস্ক ফোর্সের সদস্য এবং আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশনের চেয়ারম্যান চিকিৎস শশাঙ্ক জোশী টুইটারে লিখেছেন, ” প্রথমত, নিওকোভ একটি পুরানো ভাইরাস, যার সঙ্গে মার্স কোভ-এর অনেকটা মিল রয়েছে। এটি ডিপিপি৪ রিসেপ্টরের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ায়। দ্বিতীয়ত, নিওকোভ বাদুড়ের এসিই-২ রিসেপ্টর ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু একটি নতুন মিউটেশন না ঘটলে, তারা মানবদেহের এসিই-২ রিসেপ্টর ব্যবহার করতে পারবে না। বাকি যা কিছু বলা হচ্ছে, সবই অত্যুক্তি।”

মার্সের ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার অনেকটাই বেশি

একটি বিষয়ে সকলের স্পষ্ট থাকা দরকার – নিওকোভ শুধুমাত্র বাদুড়ের শরীরেই পাওয়া গিয়েছে। কখনও একজন মানুষকেও সংক্রমিত করেনি নিওকোভ। এটির সঙ্গে মার্স করোনা ভাইরাসের খুব নিকট সম্পর্ক রয়েছে। আর সেই কারণেই একটি আশঙ্কা করা হচ্ছে, এটি যদি কখনও মানবদেহে সংক্রমিত হয়, তাহলে প্রতি তিনজনের মধ্যে একজনের মৃত্যু ঘটাতে পারে। ওই চিনা গবেষণা পত্র অনুযায়ী, একটি বিশাল গোষ্ঠীর করোনা ভাইরাসের কারণে, মার্স (MERS) হতে পারে। এটি করোনা ভাইরাসগুলিকে মারবেকোভাইরাসেস নামে পরিচিত। এগুলির ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার প্রায় ৩৫ শতাংশ বলে দাবি করা হয়েছে গবেষণা পত্রে।

মার্সের প্রভাবে অতীতে মহামারীর রূপ নেয়নি

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইনস্টিটিউট অফ জিনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজির ডিরেক্টর চিকিৎসক অনুরাগ আগরওয়াল জানিয়েছেন, “মার্স বর্তমানের পরিস্থিতির থেকেও মারাত্মক ছিল। বহু মানুষ মারা গিয়েছিলেন। কিন্তু এটি কখনোই মহামারীর মতো পর্যায়ে পৌঁছায়নি। যে কোনও কিছুর আবির্ভাব হওয়া মানেই সবসময় তা মহামারী হয়ে ওঠে না। এ ক্ষেত্রে আমাদের জুনোটিক প্যাথোজেনগুলির উপর নজর রাখতে হবে। সচেতন থাকা ভাল কিন্তু যে ধরনের খবর ভেসে বেরাচ্ছে, ততটাই চিন্তা করার মতো কিছু নেই।” তাঁর মতে, সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের ডি৬১৪জি মিউটেশন না হলে, মহামারী পরিস্থিতি অনেকটাই আলাদা দেখাতে পারে। তাঁর মতে, “আপনি যদি সার্স-কোভ-২ মহামারীর শুরুর দিকে তাকান, যে দুটি প্রাথমিক লাইন এসেছিল, তার মধ্যে একটি এতদিনে শেষ হয়ে যেত, এটি কখনোই এতদূর যেতে পারত না। আসল মিউটেশন, যেটার নাম কেউ উল্লেখ করে না, সেটা হল ডি৬১৪জি। এই ডি৬১৪জি মিউটেশন না ঘটলে, মহামারীটি খুব অন্য ধরনের হত। তাই,ডি৬১৪জি মিউটেশনের কারণেই বিশ্বজুড়ে এই পরিস্থিতি।”

নিওকোভ কি বাদুড়ের শরীরে থেকে মানবদেহে লাফ দিতে পারে?

নিওকোভ বাদুড় থেকে মানুষের শরীরে লাফ দেওয়ার মতো কোনও নতুন ঝুঁকি নেই বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। গবেষকরা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন, ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, এই ভাইরাসটি মানুষের এসিই-২ রিসেপ্টরগুলিতে প্রবেশ করতে পারেনি। গবেষকরা এর পর বাদুড়ের রিসেপ্টর এবং মানব শরীরের রিসেপ্টরগুলির গঠনগত পার্থক্যগুলি পর্যালোচনা করে দেখেছিলেন। এরপর তাঁরা প্রোটিনের ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন করেছিলেন, যার ফলে বোঝা গিয়েছিল একটি মিউটেশন হলে, তা ভাইরাসটিকে মানবদেহে প্রবেশ করতে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে পারে। তবে এই গোটা বিষয়টাই করা হয়েছিল ল্যাবরেটরির গবেষণায়।

কী বলছেন বিশেষজ্ঞ?

উল্লেখ্য, ২০১২ সালে প্রথম বার মার্সের খোঁজ পাওয়ার পর এখনও পর্যন্ত ২৭ টি দেশে মার্সে আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাতে এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছে প্রায় ৮৫৮ জন। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সের বেঙ্গালুরুর সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিজিজের সহকারী অধ্যাপক চিকিৎসক অমিত সিং ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, “নিপা ভাইরাসের মতো বাদুড়ের শরীরের অন্যান্য ভাইরাসগুলির যেমন সম্ভাবনা রয়েছে মানবদেহে সংক্রমণ ঘটানোর, এটির ক্ষেত্রেও ওইটুকুই। এতে বিশেষ কিছু নেই। প্রাণীদের মধ্যে অনেক সংক্রমণ রয়েছে, সেই সব মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ঘটায় না। এক্ষেত্রে আগে থেকে কিছু অনুমান করার কোনও উপায় নেই। আমরা জানি যে মানুষ এবং এই ধরনের প্রাণীর মধ্যে দূরত্ব যত কমবে, ভবিষ্যতে আরও সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।” অন্যদিকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজির বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপার্সন চিকিৎসক জয়প্রকাশ মুলিয়িল বলেছেন, “আমাকে যদি প্রশ্ন করা হয়, এটি মানব শরীরে লাফ দেওয়ার সম্ভাবনা ০.০০১ শতাংশ। যা পরিসংখ্যানগতভাবে অসম্ভাব্য। আমরা অনেক প্যাথোজেন সঙ্গে বাস করছি; এটা নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই। যারা মানুষকে ভয় দেখাতে চায়, তাদের জন্য এটা ভাল।”

বিশিষ্ট ভাইরোলজিস্ট সিদ্ধার্থ জোয়ারদা”রের মতে, “এতটা আতঙ্কিত বা আশঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই এখনও। এটি একটি তাত্ত্বিক গবেষণার ফল মাত্র। বাদুড় একটি স্তন্যপায়ী প্রাণী, এর কিছু বৈশিষ্ট আছে। তার মধ্যে একটি বড় বৈশিষ্ট হল অনেক ধরনের ভাইরাসকে এরা ধারণ করতে পারে। তাঁদের দেহ স্বাভাবিকভাবেই এই ধারক হয়ে ওঠে। তার মধ্যে করোনা ভাইরাস যেমন আছে, তেমনি অন্যান্য ভাইরাসও আছে। ২৮ প্রজাতির প্রায় দুই হাজার ধরনের ভাইরাস। সাধারণত সার্স শুরু হওয়ার পর থেকেই বিজ্ঞানী মহলে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছিল যে বাদুড়ের শরীরে কত ধরনের ভাইরাস রয়েছে এবং সেটি আমাদের মধ্যে আবার চলে আসতে পারে কিনা। পরবর্তী সময়ে যখন মার্স চলে এল ২০১৩ সালের পরে, তখন এই গবেষণাটি আরও বেশি করে করার দরকার হল। এটা স্বাভাবিক যে এই ধরনের গবেষণা করতে করতে আমাদের কাছে বিভিন্ন নতুন তথ্য আসছে। শুধু মানুষ নয়, গোরু, কুকুর, বিভিন্ন ধরনের পাখি, ইদুর তাদের মধ্যেও বিভিন্ন ধরনের করোনা ভাইরাস আছে। এক্ষেত্রে নিওকোভের সঙ্গে আরও একটি ভাইরাস পিডিএফ২১৮০কোভ সেটাও বাদুড়ের দেহে পাওয়া গিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া গিয়েছে নিওকোভ, উগান্ডায় পাওয়া গিয়েছে পিডিএফ২১৮০ কোভ। এই দুটিই মার্সের মতো। তবে স্পাইক প্রোটিনে পার্থক্য রয়েছে, সেটি নিয়ে গবেষণা চলছিল।”

তিনি আরও বলেন, “এই গবেষণার জন্য বিভিন্ন বিষয় যা আমাদের জানা ছিল না, সেগুলি প্রকাশ্যে এসেছে। তবে স্পিসিস বেরিয়ার বলে একটি বিষয় রয়েছে। ভাইরাস কিন্তু যে প্রাণীর কোশের মধ্যে ঢুকে পড়ে, অন্য প্রাণীর মধ্যে যেতে চাইলে, তাকে নিরন্তর অনেকটা পরিবর্তন করতে হবে। তার জন্য স্পিসিস বেরিয়ার ভেঙে বেরিয়ে আসতে হবে। একটি ভাইরাস যদি মানুষে শরীরে ঢোকে, তাহলে তার রিসেপ্টর একরকম, আবার বাদুড়ের শরীরে ঢুকলে, তার রিসেপ্টর একরকম। প্রত্যেক রিসেপ্টরের গঠনগত পার্থক্য রয়েছে। সেই কারণেই সমস্ত করোনা ভাইরাস সমস্ত প্রাণীর শরীরে ঢুকতে পারে না। এটিই হল স্পিসিস বেরিয়ার। এই বেরিয়ার ভেঙে বেরোতে পারলে, একটি বা দুটি ক্ষেত্রে এমন হতে পারে। কিন্তু প্রাকৃতিকভাবে দেখতে গেলে, এটি একটু বেশিই ভাবা হয়ে যাচ্ছে।”

অন্য এক বিশিষ্ট ভাইরোলজিস্ট চিকিৎসক অমিতাভ মণ্ডল জানিয়েছেন, “এই ধরনের যে কোনও ভাইরাস যেগুলি থাকে, সেগুলিকে বলা হয় জুনোসিস। এই জুনোসিস থেকে যখন মানুষের শরীরে কোনও ভাইরাস আসে, তখন তাকে বলে অ্যানথ্রোপনোসিস। এক প্রাণী থেকে অন্য প্রাণীর শরীরে আসার জন্য কিছু জেনেটিক পরিবর্তন দরকার। সেই সময়ই ভাইরাসটি অন্য প্রাণীর শরীরে নিজেকে ‘অ্যাডপ্ট’ করতে পারেন। এটাই হচ্ছে জগতের প্রাকৃতিক নিয়ম। যখন কোনও একটি ভাইরাস প্রাণীজগতের মধ্যে রয়েছে – সেখানে কোনও মানুষ গিয়ে পড়লে, মানুষের মধ্য়েও ভাইরাসটি অনেকসময় ঢুকে পড়ে। কিন্তু বাঁচতে পারে না। ফলে জিনগত পরিবর্তন করতে করতে – সবরকম সম্ভাবনাই থাকে। সেই কারণেই অনেকে আশঙ্কা করছেন। কারণ, কোভিডের ক্ষেত্রেও তো অনেকটা একইরকম দেখা গিয়েছিল।”

আরও পড়ুন : New Coronavirus ‘NeoCOV’ : প্রতি ৩ জনের মধ্যে ১ জনের মৃত্যু! ‘নিওকোভ’ নিয়ে সতর্কবাণী উহানের বিজ্ঞানীদের