AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Pakistan: বাঘের মুখে জুতো দেখেই হয়েছিল সন্দেহ, খাঁচায় ঢুকে আরও বাড়ল রহস্য

Dead body found in Pakistan Zoo: চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরের শেরবাগ চিড়িয়াখানায়। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে বাঘের গুহায় দেহটি পাওয়ার পরই দেহটি পরীক্ষা করার জন্য ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের ডাকা হয়েছিল। কিন্তু, এখনও ব্যক্তিকে শনাক্ত করা যায়নি।

Pakistan: বাঘের মুখে জুতো দেখেই হয়েছিল সন্দেহ, খাঁচায় ঢুকে আরও বাড়ল রহস্য
এই খাঁচা থেকেই পাওয়া গিয়েছে মৃতদেহটিImage Credit: Twitter
| Edited By: | Updated on: Dec 07, 2023 | 3:26 PM
Share

লাহোর: চিড়িয়াখানা সাফাই করছিলেন কর্মীরা। পরিষ্কার করা হচ্ছিল বাঘের ঘেরাটোপও। সেই সময়ই কর্মীরা দেখেছিলেন, একটি বাঘের মুখের মধ্যে একটি জুতো। দেখেই তাঁর সন্দেহ হয়েছিল। খোঁজাখুঁজি করতেই, বাঘের গুহা থেকে পাওয়া যায় এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির প্রাণহীন দেহ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরের শেরবাগ চিড়িয়াখানায়। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে বাঘের খাঁচায় দেহটি পাওয়ার পরই দেহটি পরীক্ষা করার জন্য ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের ডাকা হয়েছিল। কিন্তু, এখনও ব্যক্তিকে শনাক্ত করা যায়নি।

তিনি কীভাবে বাঘের খাঁচায় ঢুকে পড়লেন, কীভাবেই বা তাঁর মৃ্ত্যু হল, এই বিষয়গুলিও এখনও স্পষ্ট নয়। বাহাওয়ালপুরের এক সরকারি কর্তা বলেছেন, “যখন তারা চিড়িয়াখানা এবং খাঁচাগুলি পরিষ্কার করেছিল, তখন একটি বাঘকে মুখে করে একটি জুতা ধরে থাকতে দেখেছিল। কর্মীদের সন্দেহ হয়েছিল। তারপরে তারা বাঘের গুহার ভিতরে একটি মৃতদেহ পান। ”

ওই সরকারি কর্তার মতে, ওই ব্যক্তি সম্ভবত মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি বলেছেন, “লোকটি সম্ভবত মানসিক ভারসাম্যহীন। কারণ কোনও বুদ্ধিমান ব্যক্তি বাঘের খাঁচায় ঝাঁপ মারবে না। আপনারা গেলেই দেখবেন, খাঁচাটির সুরক্ষা নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলার জায়গা নেই। খাঁচাটি সম্পূর্ণভাবে সুরক্ষিত রয়েছে। তবে, বাঘের ঘেরাটোপের পিছনদিকে একটি উঁচু সিঁড়ি রয়েছে। সম্ভবত সেখান থেকে তিনি ঘোরাটোপের ভিতরে লাফ দিয়েছিলেন।”

বাহাওয়ালপুরের রেসকিউ সার্ভিসের পক্ষ থেকে দেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। রেসকিউ সার্ভিসের কর্মীদের মতে, নিহত ব্যক্তির পায়ে গুরুতর আঘাত ছিল। সম্ভবত তাঁর পায়ে কামড় দিয়েছিল বাঘ। কিন্তু, কী তাঁর পরিচয়, তিনি কীভাবে চিড়িয়াখানায় এলেন, কখন এলেন, সকলের চোখ এড়িয়ে কীভাবে বাঘের ঘেরাটোপে ঢুকে পড়লেন – এই রকম অনেক প্রশ্নের উত্তরই এখনও পাওয়া যায়নি।

চিড়িয়াখানাটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে পাক পঞ্জাবের বন্যপ্রাণী বিভাগ। চিড়িয়াখানাটিতে সিংহ, বাঘ এবং হায়েনার মতো বিভিন্ন ধরণের বন্যপ্রাণী রয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০০০ সালে পাকিস্তানের আরও এক চিড়িয়াখানায় এক নিখোঁজ কিশোরের দেহাবশেষ পাওয়া গিয়েছিল সিংহের খাঁচা থেকে। চসতি বছরের অগস্টে, করাচির ব্যস্ত রাস্তা দিয়ে নির্বিঘ্নে হাঁটতে দেখা গিয়েছিল একটি সিংহকে। জিও নিউজের প্রতিবেদন অনুসারে, সিংহটিকে একটি চিড়িয়াখানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। যে গাড়িটি করে তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, মাঝপথে সেচা থেকে পালিয়েছিল বাঘটি।