ওয়াশিংটন: অবশেষে খোঁজ মিলল টাইটানের ধ্বংসাবশেষের। বুধবারই মার্কিন উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে জানানো হয়, গত সপ্তাহে টাইটানিক দেখতে গিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরের গভীরেই ধ্বংস হয়ে যাওয়া টাইটান সাবের কিছুটা অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। এরসঙ্গে উদ্ধার হয়ে দেহাবশেষও। মনে করা হচ্ছে, টাইটানে যে পাঁচজন যাত্রী ছিলেন, তাদেরই দেহাবশেষ মিলেছে। এবার আমেরিকার মেডিক্যাল অফিসাররা ওই দেহাবশেষ খতিয়ে দেখবেন। তারপরই নিশ্চিত হওয়া যাবে যে উদ্ধার হওয়া দেহাবশেষ টাইটানের যাত্রীদের নাকি।
১৯১২ সালে সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিল টাইটানিক। দাবি করা হয়েছিল, এই জাহাজ কখনও ডুববে না। কিন্তু প্রথম যাত্রাতেই ডুবে থাকা বরফের চূড়ায় ধাক্কা মারে টাইটানিক। কয়েক হাজার যাত্রীকে নিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরেই সলিল সমাধি হয় টাইটানিকের। এখনও আটলান্টিকের তলাতেই পড়ে রয়েছে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ। আর এই ধ্বংসাবশেষকে চোখের সামনে দেখতেই পাঁচ যাত্রীকে নিয়ে সমুদ্রে নেমেছিল টাইটান। ওই ছোট্ট সাবমেরিনে যাত্রী ছিলেন ব্রিটেনের হ্য়ামিস হার্ডিং, ফ্রান্সের সাবমেরিন বিশেষজ্ঞ পল হেনরি নারগিওলেট, পাকিস্তানি-ব্রিটিশ ধনকুবের শাহজাদা দাউদ ও তাঁর ছেলে সুলেমন এবং ওয়ানগেট এক্সপিডিশন সংস্থার সিইও স্টকটন রাশ।
আটলান্টিকে নামতেই কিছুক্ষণ পর যোগাযোগ হয়ে গিয়েছিল টাইটানের সঙ্গে। দুর্ঘটনার তিনদিন পরে জানানো হয়, ধ্বংস হয়ে গিয়েছে টাইটান সাব। উত্তর আটলান্টিকের দুই মাইল গভীরে জলের অত্যাধিক চাপেই ধ্বংস হয়ে যায় টাইটান। মৃত্যু হয় পাঁচজনেরই। এরপর থেকেই টাইটানের ধ্বংসাবশেষ খোঁজার জন্য উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়েছিল। আমেরিকাই এই উদ্ধারকাজের নেতৃত্বে রয়েছে।
বুধবারই পূর্ব কানাডার সমুদ্রের গভীর থেকে টাইটানের একটা ছোট্ট অংশ উদ্ধার করা হয়। ধ্বংসাবশেষ দেখেই বোঝা যাচ্ছে,সম্পূর্ণ দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছিল টাইটান। এই ধ্বংসাবশেষ মার্কিন বন্দরে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানেই যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।
উদ্ধারকাজের যে ছবিগুলি সামনে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে টাইটানের সামনের ছুঁচলো অংশ ও এক পাশের কিছুটা অংশ সমুদ্র থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সেখান থেকে তার ঝুলছে। এরমধ্যেই দেহাবশেষও পাওয়া গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।