ওয়াশিংটন: রাশিয়ান আক্রমণের মুখে তছনছ হওয়ার মুখে ইউক্রেন (Russia-Ukraine Conflict)। গতকাল থেকেই ইউক্রেন জুড়ে শুধুমাত্র ধ্বংসের ছবি। কালো ধোয়ার ঢেকেছে চারপাশ, প্রাণ বাঁচাতে মেট্রো স্টেশনে আশ্রয় নিয়েছে সাধারণ ইউক্রেনবাসী। ক্রমশই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের দিকে এগিয়ে চলেছে রুশ সেনাবাহিনী। দেশের জনগণকে সবরকমভাবে রুশ সেনাকে প্রতিরোধের ডাক দিয়েছে ইউক্রেন প্রশাসন। এই পরিস্থিতি রাশিয়ান আগ্রাসন নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আমেরিকা। সূত্র মারফত খবর পাওয়া গিয়েছে, মার্কিন গোয়েন্দা আধিকারিকদের আশঙ্কা, রাশিয়ান আক্রমণের মুখে আর কয়েকদিনে মধ্যে কিয়েভের পতন হতে পারে। সূত্রের দাবি, মার্কিন গোয়েন্দাদের দাবি ছিল, রাশিয়ার আক্রমণের একদিন থেকে চারদিনের মধ্যে কিয়েভের পতন ঘটতে পারে, সেই সম্ভাবনা জোরাল বলে এখনও মনে করছে ওয়াশিংটন।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের ২০ মাইলের মধ্যে ইতিমধ্যেই চলে এসেছে রাশিয়ান সেনা, ক্যাপিটল হিলের আধিকারিকরা এমনটাই জানিয়েছেন। মার্কিন আধিকারিকদের ধারণা রাশিয়ার প্রত্যাশার থেকে অনেক বেশি মাত্রায় বাধা দিচ্ছে ইউক্রেন, সূত্র মারফত তাদের কাছে এমনটাই খবর রয়েছে। ইতিমধ্য়েই রাশিয়ান আক্রমণের দু’দিন অতিক্রান্ত, সামরিক শক্তির বিচারে রাশিয়াকে আটকে রাখা আর সম্ভব নয়। কিন্তু আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে কিয়েভের পতন নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। সিএনএন আগেই জানিয়েছিল, রাশিয়ান সেনা বাহিনী ক্রমশই কিয়েভের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। পশ্চিমী গোয়েন্দারা জানিয়েছিল, রাশিয়ার পরিকল্পনা ছিল প্রথমে কিয়েভের সরকারের পতনের পর সেখানে বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিনিধি সরকার তৈরি করবে রাশিয়া।
ইউক্রেনের আধিকারিকরা যেকোনও মূল্যে রাশিয়াকে আটাকানোর পরিকল্পনা করেছেন। শুক্রবার ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রক টুইটে জানিয়েছে, কিয়েভের উত্তরে ওবোলন জেলাতে রাশিয়ান বাহিনীর অনুপ্রবেশ মাত্রই স্থানীয় জনতা বোতল বোমা ছুড়ে তাদের অনুপ্রবেশে বাধার সৃষ্টি করেছে। সশস্ত্র পরিষেবা কমিটির একজন ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি রুবেন গ্যালেগো শুক্রবার সিএনএনকে বলেছেন যে রাশিয়া যদি কিয়েভ দখল করতে চায় তবে আমেরিকার উচিৎ সেখানে সশস্ত্র বাহিনী পাঠিয়ে আক্রমণ প্রতিরোধ করা। এখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ্ কোন দিকে মোড় নেয় সারা বিশ্ব সেইদিকেই তাকিয়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন Russia-Ukraine Conflict: কিয়েভ দখলে মারাত্মক কৌশল! ইউক্রেনিয়ান সেনার পোশাকে ওঁরা কারা?