‘২ ডোজ়ের মধ্যে অতিরিক্ত ব্যবধানে বাড়বে বিপদ’, টিকানীতির ‘ভুল’ খুঁজলেন ফৌসি

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Jun 12, 2021 | 7:42 AM

গতমাসেই কেন্দ্রের তরফে কোভিশিল্ডের দুটি ডোজ়ের মধ্যে ব্যাবধান ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের বদলে ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ বাড়িয়ে দেওয়া হয়।

২ ডোজ়ের মধ্যে অতিরিক্ত ব্যবধানে বাড়বে বিপদ, টিকানীতির ভুল খুঁজলেন ফৌসি
ফাইল চিত্র।

Follow Us

নয়া দিল্লি: প্রথম ডোজ় প্রয়োগের পর দেহে অ্যান্টিবডি তৈরির সময় দেওয়ার জন্যই ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ়ের মধ্যে ব্যবধান বাড়িয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু এতে করোনার বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠার বদলে করোনার নতুন প্রজাতি বা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে, এমনটাই জানালেন আমেরিকার করোনা চিকিৎসার পরামর্শদাতা ডঃ অ্যান্টনি ফৌসি।

গতমাসেই কেন্দ্রের তরফে কোভিশিল্ডের দুটি ডোজ়ের মধ্যে ব্যাবধান ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের বদলে ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। কারণ হিসাবে কেন্দ্রের তরফে ভ্যাকসিনের আরও বেশি কার্যকারিতার কথা বলা হলেও একাংশের দাবি, টিকা সঙ্কট মেটাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ভ্যাকসিনের এই ব্যবধান কতটা সুফল দেবে, সে বিষয়ে ডঃ ফৌসিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এমআরএনএ ভ্যাকসিনের মধ্যে আদর্শ ব্যবধানের সময় হল ৩-৪ সপ্তাহ। ফাইজ়ার ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে ৩ সপ্তাহ এবং মডার্নার দুটি ডোজ়ের ক্ষেত্রে ৪ সপ্তাহের ব্যবধান রাখা উচিত। দুটি ডোজ়ের মধ্যে বেশি ব্যবধান বাড়ালে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।”

ব্রিটেনের উদাহরণ তুলে তিনি আরও বলেন, “ব্রিটেনেও ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ়ের মধ্যে ব্যবধান বাড়ানো হয়েছে। সেই সময়েই অনেকে নয়া ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হতে পারেন। সেই কারণেই আমার মনে হয় নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানটুকুই মেনে চলা উচিত। তবে টিকা ঘাটতি দেখা গেলে, একান্তই উপায় না থাকায় সেক্ষেত্রে ব্যবধান বাড়ানো যেতে পারে।”

আরও পড়ুন: ৩ মাসে ৯৫ দেশে সাড়ে ৬ কোটি টিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্র, ফ্রি-তে সবচেয়ে বেশি পেয়েছে বাংলাদেশ

Next Article