ওয়াশিংটন: বাঙালিতেই আস্থা ট্রাম্পের। ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিকিৎসক-অর্থনীতিবিদ জয় ভট্টাচার্যকে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথ-র প্রধান পদে বসালেন হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন মুলুকের সবথেকে বড় সমস্যাই হল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। সেই সমস্যারই সমাধান এবার করবেন বঙ্গতনয়।
দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট পদে ডোনাল্ড ট্রাম্প। মন্ত্রিসভা সাজাতে বসেছেন ট্রাম্প। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে তিনি ভরসা রাখলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকানের উপরে। ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথের শীর্ষ কর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন জয় ভট্টাচার্য। এটি আমেরিকার সবথেকে বড় মেডিক্যাল রিসার্চ কেন্দ্র। প্রায় ৪৭.৩ বিলিয়ন ডলার বাজেট এই কেন্দ্রের।
ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথের প্রধান হিসাবে মোট ২৭টি প্রতিষ্ঠান ও গবেষণা কেন্দ্রের দায়িত্বভার নেবেন। নতুন ওষুধ, টিকা আবিষ্কার ও তার কার্যকারিতা সহ যাবতীয় গবেষণাই তাঁর অধীনে হবে।
I am honored and humbled by President @realDonaldTrump‘s nomination of me to be the next @NIH director. We will reform American scientific institutions so that they are worthy of trust again and will deploy the fruits of excellent science to make America healthy again! https://t.co/FrLmYznhfw
— Jay Bhattacharya (@DrJBhattacharya) November 27, 2024
স্ট্যানফোর্ড উত্তীর্ণ জয় ভট্টাচার্য একাধারে ফিজিশিয়ান ও অর্থনীতিবিদ। করোনাকালে তিনি লকডাউন, করোনা টিকাকরণের সমালোচনা করে চরম বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন। এমনকী, তাঁকে এক্স (তৎকালীন টুইটার) থেকে ব্যান করে দেওয়া হয়।
১৯৬৮ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন জয় ভট্টাচার্য। কলকাতাতেই তাঁর বেড়ে ওঠা। পরে ১৯৯৭ সালে তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যান। স্ট্যানফোর্ড থেকে মেডিসিনে ডক্টরেট করেন। তিন বছর বাদে ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইকোনমিক্সে পিএইচডি করেন।
বর্তমানে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির হেলথ পলিসির অধ্যাপক তিনি। ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক্স রিসার্চের অ্যাসোসিয়েট রিসার্চ পদেও রয়েছেন। স্ট্যানফোর্ডের সেন্টার ফর ডেমোগ্রাফি অ্যান্ড ইকোনমিক্স অব হেলথ অ্যান্ড এজিং-র নেতৃত্বের দায়িত্বও রয়েছে তাঁর কাঁধে। মূলত আর্থিকভাবে দুর্বল জনসংখ্যার স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়েই গবেষণা করেন। সরকারি প্রকল্প, বায়োমেডিক্যাল উদ্ভাবন ও অর্থনীতির ভূমিকা নিয়ে গবেষণা করেন। সম্প্রতিই তিনি কোভিড-১৯-র এপিডেমিওলজি এবং মহামারিতে বিভিন্ন নীতির প্রভাব নিয়েও গবেষণা করেছেন। মেডিসিন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য নীতি, এপিডেমোলজি, স্ট্যাটিস্টিক্স সহ একাধিক বিষয়ে ১৩৫টি প্রতিবেদন লিখেছেন।
২০২০ সালে করোনাকালে বাইডেন প্রশাসনের নীতির তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। সরকারের সমালোচনা করায় বিতর্ক-সমালোচনার মুখেও পড়েছেন।