AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Donald Trump: গল্ফ খেলে ফেরার পথে ভিখারিদের মুখদর্শন নাপসন্দ! গৃহহীনদের সরাতে ওয়াশিংটনে সেনা নামালেন ট্রাম্প

Donald Trump: শহরজুড়ে ক্রিমিনালদের দাপাদাপি। মেয়র, পুলিশে ভরসা নেই। তাই আবার মার্কিন মুলুকে সেনা মোতায়েন ট্রাম্পের। বলেছেন, আশা করি লস অ্যাঞ্জেলস দেখছে। গৃহহীন, অভিবাসীরাই ক্রাইম রেট বাড়াচ্ছে ওয়াশিংটনে, অভিযোগ মার্কিন প্রেসিডেন্টের।

Donald Trump: গল্ফ খেলে ফেরার পথে ভিখারিদের মুখদর্শন নাপসন্দ! গৃহহীনদের সরাতে ওয়াশিংটনে সেনা নামালেন ট্রাম্প
কী বলছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প?
| Edited By: | Updated on: Aug 12, 2025 | 4:57 PM
Share

এক রবিবার ছুটির দিনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাঁর সাধের গল্ফ কোর্স থেকে ফিরছিলেন। সেই সময় দেখতে পান রাস্তার ধারে ভিখারি, গৃহহীনরা কাতর মুখে বসে। কেউ আবর্জনার মধ্যে একটু খাবার খুঁজছেন। কেউ অসুস্থ, যন্ত্রণায় ছটফট করছেন, চিৎকার করে কাঁদছেন। এই দৃশ্য পছন্দ হয়নি ট্রাম্পের। শুধু গল্ফ খেলে ফেরার সময়? হোয়াট হাউসে বসে জানালা দিয়েও নাকি একই দৃশ্য দেখতে হয় প্রেসিডেন্টকে। কেনেডি সেন্টার, কন্সটিটিউশন অ্যাভিনিউতে রাশি রাশি অস্থায়ী তাঁবু। নিজের ‘বিস্ট’ লিমুজিন নিয়ে রাস্তায় বেরিয়েও রক্ষা নেই। সেই একই দৃশ্য দেখতে হয়। গা ঘিনঘিন করে ওঠে প্রেসিডেন্টের। তখনই মোবাইলে ছবি তুলে পোস্ট করে দেন নিজেরই সোশ্যাল মিডিয়া ট্রুথ সোশ্যাল। লেখেন, ‘রাজধানী থেকে দূর হটো।’

কোথায় তাঁর সাধের আমেরিকার রাস্তায় থাকবে ঝাঁ চকচকে গাড়ি! ভিড় থাকবে শুধু দামি গাড়ি ও মডেলদের! সেখানে কি না ভিখারি-গৃহহীনরা রাজধানীর রাস্তার সৌন্দর্যায়নে বাধা হয়ে দাঁড়াবে? কভি নেহি। সটান সাংবাদিক বৈঠক ডেকে বসলেন ট্রাম্প। হুকুম দিলেন, ‘অবিলম্বে সব গৃহহীন, ভিখারিদের ওয়াশিংটন থেকে সরাতে হবে। নচেৎ কড়া শাস্তি।’ হাকিমের হুকুম বলে কথা! এতদিন কয়েক হাজার ফেডারেল এজেন্ট, মেট্রোপলিটন পুলিশ রাস্তায় টহল দিচ্ছিল। কিন্তু ট্রাম্পের হুকুম আসতেই হাজারখানেক সেনা মোতায়েন হল ওয়াশিংটন ডিসির রাস্তায়। ট্রাম্পের অভিযোগ, এই ভিখারি, গৃহহীনরাই শেষ করে দিচ্ছে গ্রেট আমেরিকাকে! রাস্তায় খুন-রাহাজানি বাড়ছে। ক্রাইম রেট সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছচ্ছে। মুশকিল হল, ট্রাম্পের এই দাবি মানতে রাজি নন ডিসি-র মেয়র মুরিয়াল বাউজার। তাঁর আবার বক্তব্য, গত ৩০ বছরে সর্বনিম্ন ক্রাইম রেট ছুঁয়েছে ওয়াশিংটন ডিসিতে।

কিন্তু ট্রাম্প আবার কার কথা কবে শুনেছেন? স্পষ্ট জানিয়েছেন, শহরকে বস্তিমুক্ত করবেনই। যদিও বিরোধীরা বলছে, শহর জুড়ে রাস্তায় অজস্র গর্ত। অথচ সেগুলি বোজাতে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারের বাজেট এখনও পাশ করেনি রিপাবলিকানরা। উল্টে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে গৃহহীনরা আরও মরিয়া হয়ে উঠতে পারেন, আশঙ্কা করছেন মেয়র থেকে বিরোধীরা। ট্রাম্পের অবশ্য যত চিন্তা রাজধানী নিয়ে। আশপাশের মিসিসিপি, লুইজিয়ানা, আলাবামা নিয়ে তাঁর বিশেষ মাথাব্যথা নেই। So Others Might Eat বা SOME-এর মতো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের বক্তব্য, একদিনে শহরের রাস্তাকে ভিখারি মুক্ত করা যাবে না। কোথায় যাবেন এই গৃহহীনরা? বড়জোর রাজধানী থেকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে অন্যত্র তাঁদের ঠাসাঠাসি করে কোনও শেল্টারে রেখে দেবে ট্রাম্প প্রশাসন? এতে কি ক্রাইম রেট কমবে? সব অপরাধ কি ভিখারিরাই করেন শহর জুড়ে? বরং শহর জুড়ে এরকম অজস্র গৃহহীন, অভুক্ত, কর্মহীনরাই নিত্যদিনের কাজ সবচেয়ে কম পয়সায় করেন। রাস্তা সাফ থেকে রেস্তোরাঁয় খাবার পরিবেশন করে শহর সচল রাখেন এই গরিব মানুষগুলোই, বলছেন এই সংগঠনের প্রেসিডেন্ট বয়েড। তিনি আরও বলেন, ‘শীতের রাতে ওয়াশিংটনের তাপমাত্রা যখন মাইনাস ৮ ডিগ্রিতে নেমে যায়, তখন এই মানুষগুলো কোথায় যাবে যাঁদের মাথায় ছাদ নেই?’ ট্রাম্পের অবশ্য বক্তব্য, ‘রক্তপিপাসু ক্রিমিনালে শহর ভরে গেছে। তাই মেক আমেরিকা গ্রেট এগেন।’