ওয়াশিংটন: এখনও দেশে ফেরানো যায়নি আফগানিস্তানে (Afghanistan) আটকে থাকা সমস্ত মার্কিনবাসীকে। কতটা সুরক্ষিতভাবে ফিরিয়ে আনতে পারবেন, তার গ্যারান্টিও দিতে পারলেন না প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। শুক্রবার তিনি বলেন, “কতটা সফলভাবে সমস্ত নাগরিকদের জরুরিভিত্তিতে দেশে ফিরিয়ে আনা যাবে বা এর ফল কী হবে, জানিনা। কারণ এটি অন্য়তম কঠিন এয়ারলিফ্ট কর্মসূচি।” একইসঙ্গে তিনি জানান, যাবতীয় সম্পদ ব্যবহার করা হবে আটকে থাকা আমেরিকার নাগরিকদের ফেরাতে।
সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়ে যেখানে ঘরে-বাইরে কোণঠাসা প্রেসিডেন্ট বাইডেন, সেই সময়ই তিনি হোয়াইট হাউস (White House) থেকে বিশেষ বার্তায় বললেন, “এটা ইতিহাসের অন্যতম বড় ও সবচেয়ে কঠিন এয়ারলিফ্ট।” রবিবার আফগানিস্তানের রাজধানী তালিবানদের দখলে চলে যাওয়ার পরই একমাত্র নিরাপদ আশ্রয় হয়ে উঠেছে কাবুল হামিদ কারজ়াই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। আপাতত বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব মার্কিন বাহিনীর উপরেই রয়েছে। তবে বিমানবন্দরের চারপাশ তালিবানরা ঘিরে রাখায় বিপুল সংখ্যক মার্কিন বাসিন্দাদের একবারে ফিরিয়ে আনা যাচ্ছে না।
চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, “আমি কোনও প্রতিশ্রুতি দিতে পারছি না যে অন্তিম ফল কী হতে চলেছে বা কোনও ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই সকলকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। তবে দেশের প্রধান হিসাবে আমি কথা দিচ্ছি সমস্ত প্রয়োজনীয় সম্পদ ব্যবহার করব আটকে থাকা আমেরিকার নাগরিকদের দেশে ফেরাতে। আমি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিচ্ছি, যে সমস্ত আমেরিকানই বাড়ি ফিরতে চান, তাদের আমরা বাড়ি ফেরত নিয়ে আসবই।”
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, গত জুলাই থেকে এখনও অবধি ১৮ হাজার মানুষকে আফগানিস্তান থেকে এয়ারলিফ্ট করে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এর মধ্যে গত ১৪ অগস্ট থেকেই এখনও অবধি ১৩ হাজার মানুষকে নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়াও মার্কিন সরকার চার্টার্ড বিমানের ব্যবস্থা করে আরও কয়েক হাজার মানুষকে উদ্ধার করে আনা হয়েছে।
চলতি বছরের শুরুতেই বাইডেন জানিয়েছিলেন, আগামী ৩১ অগস্টের মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে সম্পূর্ণ রূপে সেনা প্রত্যাহার করা হবে। সেই সময়ের মধ্যে তিনি সমস্ত মার্কিন বাসিন্দাদেরও ফিরিয়ে আনতে পারবেন কিনা, প্রশ্ন করা হলে প্রেসিডেন্ট জানান, লক্ষ্য় সেটাই রয়েছে, তবে ঘটনাস্থলে যে সমস্ত সেনাবাহিনীর কর্মীরা রয়েছেন, তাদের সিদ্ধান্তের উপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে।
বাইডেন জানান, চলতি সপ্তাহেই তিনি বুঝতে পেরেছেন আফগানিস্তানে কোনও বড় সমস্যা ছাড়াই, শান্তিপূর্ণভাবে সেনা প্রত্যাহার সম্ভব ছিল না। কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে যেমন হাজার হাজার আফগান নাগরিক ভিড় করে রয়েছেন, তাদের ফেলে আসাও কঠ্ন। একইসঙ্গে তালিবানের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে মার্কিন নাগরিকদের সুরক্ষিতভাবে দেশে ফেরানোর জন্য, এ কথাও জানান বাইডেন। আরও পড়ুন: ডেঙ্গু নিয়ে একদিনে রেকর্ড সংখ্যক শিশু ভর্তি হাসপাতালে, ২০১৯’র পর ফের বাংলাদেশে মশাবাহিত রোগের বাড়বাড়ন্ত