ওয়াশিংটন: চিনা স্পাই বেলুন(China Spy Balloon) নিয়ে তোলপাড় আন্তর্জাতিক রাজনীতি। আমেরিকার (USA)আকাশে চিনা স্পাই বেলুনের দেখা মেলা এবং তারপরে তা মিসাইল ছুড়ে ধ্বংস করার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে তীব্র চাপানউতোর শুরু হয়েছে। এবার এই বিষয় নিয়ে সরাসরি কথা বলতে চলেছেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। বৃহস্পতিবারই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) জানান, আমেরিকার আকাশসীমায় চিনা স্পাই বেলুনের উপস্থিতি ও মার্কিন বায়ুসেনার সেই বেলুন ধ্বংস করা নিয়ে তিনি চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং(Xi Jinping)-র সঙ্গে কথা বলবেন।
জানুয়ারি মাসের শেষভাগ থেকেই আমেরিকার আকাশে দেখা মিলেছিল রহস্যজনক বস্তুর দেখা মেলে। মন্টানার এয়ারস্পেস, যেখানে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা ও উৎক্ষেপণ করা হয়, সেখানেই উড়তে দেখা গিয়েছিল প্রথম এই রহস্যজনক বেলুনকে। আমেরিকার তরফে দাবি করা হয়, এটি চিনের স্পাই বেলুন, যা আমেরিকার উপরে নজরদারি করার জন্য পাঠানো হয়েছে। যদিও চিনের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। গত ৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ ক্য়ারোলিনার উপকূলের কাছে মিসাইল ছুড়ে ওই রহস্যজনক বেলুনকে ধ্বংস করা হয়। এরপরই চিনের তরফে আমেরিকার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়। এবার চিনের হুঁশিয়ারির কড়া জবাব দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
বৃহস্পতিবার বাইডেন চিনা বেলুন প্রসঙ্গে বলেন, “প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আমার এই বিষয়ে কথা বলার পরিকল্পনা রয়েছে…এর শেষ দেখে ছাড়ব আমি”। আমেরিকা নতুন করে ঠান্ডা যুদ্ধ শুরু করতে চায় না, এই কথার উপরেই বারংবার জোর দেন বাইডেন। তবে একইসঙ্গে তিনি বলেন, “ওই স্পাই বেলুন ধ্বংস করার জন্য আমি মোটেও ক্ষমাপ্রার্থী নই। আমরা সর্বদা আমেরিকার নাগরিকদের সুরক্ষা ও প্রতিরক্ষার দিক নিয়ে ভাবনাচিন্তা করি এবং সেই অনুযায়ীই পদক্ষেপ করি।”
উল্লেখ্য, আমেরিকায় স্পাই বেলুনের দেখা মেলা ও তা ধ্বংস করার পরই পার্শ্ববর্তী আলাস্কা, কানাডা, মিশিগান, রোমানিয়া, মলডোভার আকাশেও রহস্যজনক বস্তুর দেখা মিলেছিল। সম্প্রতিই কানাডায় মার্কিন সেনার সহযোগিতায় সেই রহস্যজনক বস্তু ধ্বংস করা হয়। আমেরিকায় দেখা মেলা প্রথম বেলুনটি চিনের বলে স্বীকার করে নেওয়া হলেও, বাকি রহস্য়জনক বস্তুগুলি কোথা থেকে এসেছিল বা কে পাঠিয়েছিল, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমেরিকা ও চিনের মধ্যে কূটনৈতিকস্তরে বিরোধও শুরু হয়ে গিয়েছে। চিনা স্পাই বেলুনের দেখা মেলার পরই মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিনকিনের বেজিং সফর বাতিল করে দেওয়া হয়।