সম্প্রতি মঙ্গল গ্রহের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে নাসা। নাসার প্রকাশিত সেই ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ‘মার্স রিকনেসান্স অরবিটারে’র হাই-রেজোলিউশন ইমেজিং সায়েন্স এক্সপেরিমেন্ট ব্যবহার করে ছবিটি তুলেছে মহাকাশ সংস্থাটি। কিন্তু কেন ভাইরাল হল সেই ছবি? কী বিশেষত্ব রয়েছে তাতে? নাসা ইনস্টাগ্রাম ছবিটি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখে,
“মঙ্গলের মাটিতে এই গর্তটি দেখা যাচ্ছে ছবিতে।” সঙ্গে সংস্থার তরফে যোগ করা হয়, “মানচিত্রটি এখানে প্রতি পিক্সেল ৫০ সেন্টিমিটার (১৯.৭ ইঞ্চি) স্কেলে অনুমান করে দেওয়া হয়েছে।”
এই পোস্টের পর থেকেই নাসার শেয়ার করা এই ইনস্টাগ্রাম পোস্টে বেশ কয়েকজন ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন। একজন লেখেন, “মঙ্গল গ্রহের উপর এটা একটা এলিয়েনের পদচিহ্নের মতো দেখাচ্ছে।” একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “ঈশ্বরের সমস্ত সৃষ্টিই সৌন্দর্যকে ধারণ করে এবং মহাবিশ্বেও এর উদাহরণ মেলে।” অন্য একজন লেখেন, “এটা বেশ দর্শনীয়। এই ছবি আমাকে নির্বাক করে দিয়েছে!!!” যে গর্তের ছবি নাসা প্রকাশ করেছে তার নাম – এয়ারি। ক্যাপশনে নাসা লিখেছে, এই গর্তের মধ্যে যে বৃহৎ গর্তটি দেখা যাছে, তাকে এয়ারি ক্রেটার বলা হয়।
মঙ্গল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব, গ্রহের প্রকৃতি, জলবায়ু নিয়ে খোঁজ খবর নিতে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলের বুকে অবতরণ করেছিল মার্কিন মহাকাশযান পার্সিভিয়ারেন্স। তারপর থেকেই সেই মহাকাশযান মঙ্গল গ্রহের ছবি তুলে তা পৃথিবীতে পাঠাচ্ছে। এদিকে এই একই সময় ‘মার্স রিকনেসান্স অরবিটার’টি প্রদক্ষিণ করে চলেছে মঙ্গল গ্রহকে। সেখানে থেকে হাই রেজোলিউশন ইমেজিং এক্সপেরিমেন্ট ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলছে সেই মহাকাশযান। মঙ্গল গ্রহের একটি প্যানারোমিক ছবিও তুলে পাঠানো হয়েছে পৃথিবীতে। মোট ১৪২টি ছবি একসঙ্গে জুড়ে সেই প্যানারোমিক ছবিটি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। পার্সিভিয়ারেন্স রোভারে লাগানো দুটি ম্যাস্টক্যাম-জেড ক্যামেরা দিয়ে ৩৬০ ডিগ্রির এই ছবিটি তোলা হয়েছে। পার্সিভিয়ারেন্সে যে দুটি ম্যাস্টক্যাম-জেড রয়েছে, সেগুলি মানুষের চোখের মতো কাজ করে বলে জানিয়েছে নাসা। এর আগে নাসা জানিয়েছিল, পার্সিভিয়ারেন্স মঙ্গলের বুকে আগামী দুই বছর কাজ করবে। এই সময়কালে সেই গ্রহ থেকে নমুনা সংগ্রহ থেকে শুরু করে ছবি তোলার মতো বিভিন্ন কাজ করবে সেটি। পৃথিবীর সময় মতো পার্সিভিয়ারেন্সের কাজের মেয়াদ দুই বছর হলেও মঙ্গলের সময়ে তা আদতে একবছর। পার্সিভিয়ারেন্সের সাহায্যে বিজ্ঞানীরা লাল গ্রহ সম্পর্কিত অনেক অজানা তথ্য জানতে পারবেন বলে আশা করছেন।