ইসলামাবাদ : পাকিস্তানের গদিতে বসেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে শান্তিবার্তা পাঠিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ। সংসদে দাঁড়িয়ে তাঁর দেওয়া সেই ভাষণে ছিল কাশ্মীর ইস্যু। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর অভিনন্দন সূচক টুইটের জবাবেও কাশ্মীর ইস্যু ‘সমাধান’ করার কথা বলেছিলেন ছোটা শরিফ। সঙ্গে শান্তি বজায় রাখার বার্তা দিয়েছিলেন শাহবাজ়। আর এবার সরাসরি মোদীকে চিঠি লিখে ফেললেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তাঁর চিঠিতেও উঠে এল কাশ্মীর ইস্যু। পাশাপাশি শান্তি বজায় রাখতে অর্থপূর্ণ বার্তালাপের উপর জোর দিলেন। চিঠিতে শাহবাজ় আরও উল্লেখ করেন যে, পাকিস্তান বিশ্বাস করে যে ভারতের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক এবং বোঝাপড়া দুই দেশের উন্নয়নের জন্যই অপরিহার্য।
উল্লেখ্য, শাহবাজ় পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার জবাবেই পাক প্রধানমন্ত্রী এই চিঠি লেখেন। তাঁর চিঠিতে মোদী লিখেছিলেন, পাকিস্তানের সাথে গঠনমূলক সম্পর্ক চায় ভারত। এর জবাবে শাহবাজ় লিখেছেন যে শান্তিপূর্ণ উপায়ে কাশ্মীর ইস্যুর সমাধান করা উচিত দুই দেশের। পাশাপাশি শাহবাজ় শরিফ আরও বলেন, ইসলামাবাদ ভারতের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক সম্পর্কের পক্ষে।
এর আগে শাহবাজ় যেদিন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন, সেদিন শাহবাজ় শরিফের উদ্দেশে তাঁর অভিনন্দন বার্তায় প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন যে ভারত সন্ত্রাসমুক্ত অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায়। টুইট বার্তায় মোদী লিখেছিলেন, ‘পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার জন্য এইচই মিয়াঁ মহম্মদ শাহবাজ় শরিফকে অভিনন্দন। ভারত সন্ত্রাসমুক্ত একটি অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায় যাতে আমরা আমাদের উন্নয়নের চ্যালেঞ্জগুলি উপর মনোযোগ দিতে পারি এবং আমাদের জনগণের মঙ্গল ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পারি।’ এর জবাবে টুইট করে শাহবাজ় মোদীর উদ্দেশে লিখেছিলেন, ‘অভিনন্দন বার্তার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ। পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক চায়। জম্মু ও কাশ্মীর সহ অমীমাংসিত বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি অপরিহার্য।’
উল্লেখ্য, তিনবছর আগের পুলওয়ামা হামলার পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্কে চিড় ধরেছে। এরপর সেই বছরই জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করা হয়, যারপর দুই দেশের সম্পর্ক আরও তলানিতে গিয়ে ঠেকে। এরই মাঝে চিনের সাথে পাকিস্তানের মাখামাখি এবং লাদাখ সীমান্তে চিন-ভারত সংঘাত এই গোটা খিচুড়িতে ফোঁড়নের কাজ করে। তবে নয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ইতিবাচক দিকে নিয়ে যেতে চাইছেন শাহবাজ। তবে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে কাশ্মীর ইস্যুতেও বারংবার খোঁচা দিচ্ছেন নওয়াজ শরিফের ভাই।
আরও পড়ুন : Pak vs Taliban : ‘বন্ধুর’ আক্রমণে চটছে তালিবান, বায়ুসেনার অভিযানে নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি পাকিস্তানকে