মস্কো: পশ্চিমী দেশগুলির বিরুদ্ধে এক নয়া অস্ত্র প্রয়োগ করছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাঁর পশ্চিম বিরোধী অভিযানে নয়া অস্ত্র হয়ে উঠেছে এআই অর্থাৎ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং যৌনতা। এই দুই অস্ত্রেই পশ্চিমী সমাজকে অস্থিতিশীল করে তুলতে চাইছেন তিনি। এমনটাই দাবি প্রফেসর নিনা জানকোভিচের। ইউএস হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের ডিসইনফরমেশন টাস্ক ফোর্সের এই প্রাক্তন এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর পশ্চিমের বিরুদ্ধে রুশ অভিযানের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ।
তিনি জানিয়েছেন, এর আগেও রাশিয়া তার শত্রুদের বিরুদ্ধে ‘এআই ডিপফেক পর্নোগ্রাফি’কে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে। এআই ব্যবহার করে ক্রেমলিন আর কী করতে পারে, সেই বিষয়ে তিনি চিন্তিত বলে জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, পশ্চিমী সমাজকে ধ্বংস করার লক্ষ্যেই রাশিয়া নকল পর্নোগ্রাফি ব্যবহার করছে। তিনি বলেছেন, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য তাদের শুধুমাত্র একটি নগ্ন ছবি দরকার।
‘দ্য সান’ সংবাদপত্রকে নিনা জানকোভিচ বলেছেন, এর আগে জর্জিয়া এবং ইউক্রেনের মহিলা রাজনীতিবিদদের ডিপফেক পর্ন ছড়িয়েছে রাশিয়া। সাত বছর আগে ইউক্রেনের সাংসদ স্বেতলানা জালিশচুকের রুশ ডিপফেক পর্নের শিকার হয়েছিলেন। নিনার মতে, ডিপফেক পর্নোগ্রাফি ব্যবহার করে ক্ষমতার ভারসাম্য নষ্ট করতে এবং গণতন্ত্রকে দুর্বল করতে চাইছে যদি রাশিয়া। তিনি বলেছেন, “এই ক্ষেত্রে মহিলাদের নিশানা করা এক দুর্দান্ত উপায়।”
তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে আমরা এমন এক যুগে বাস করছি, যেখানে শুধুমাত্র একটি ছবি দিয়েই একটি বাস্তবসম্মত ডিপফেক ভিডিয়ো তৈরি করা যেতে পারে। কৌশলগতভাবে এই ভিডিয়ো ব্যবহার করা হলে, সামাজিক দুর্বলতা এবং নারীবিদ্বেষকে কেন্দ্র করে সমাজে এক নৈতিক সংকট দেখা দিতে পারে। এর এই কৌশল রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করছে।
নিনা বলেছেন, “আপনি যদি কোনও উচ্চ পদস্থ সামরিক কর্তা বা রাজনৈতিক নেতাকে সরাতে চান, তাহলে তার বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করা সবথেকে ভাল উপায়। আর এই ক্ষেত্রে ডিপফেকের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। রুশ সাইবার অপরাধীরা, সম্ভবত সরাসরি পুতিনের নির্দেশ পেয়েই এই ধরনের ছবি-ভিডিয়ো এবং অন্যান্য উপাদান তৈরি করছে। আমরা এর আগেও রুশ বিরোধীদের বিরুদ্ধে ক্রেমলিনকে এই ধরণের কাজ করতে দেখেছি। ক্রেমলিন হয় সরাসরি অপরাধীদের নিয়োগ করে, নউলে তাদের সঙ্গে চুক্তি করে। এই চুক্তি অনুযায়ী, ক্রেমলিনের কাজ করে দিলে অপরাধীরা জেলের বাইরে থাকার সুযোগ পায়।”