জেরুজালেম: হামাস (Hamas) বাহিনীর কাছ থেকে ফের গাজা সীমান্তের দখল নিয়েছে ইজরায়েল সেনা (Israel Army)। কিন্তু বিপদ তাতেও কমছে না। কারণ হামাসের সঙ্গে সঙ্গে সিরিয়া (Syria) ও লেবাননও (Lebanon) হামলা চালাতে শুরু করেছে ইজরায়েলের উপরে। ইজরায়েলি সেনার তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার সিরিয়ার বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে। একদিকে হামাস বাহিনী, অন্যদিকে লেবানন-সিরিয়ার হামলায় তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত শনিবার, ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের উপরে প্রথম হামলা চালায় প্যালেস্তাইনের হামাস বাহিনী। গাজা স্ট্রিপ থেকে ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে ২০ মিনিটের মধ্যে ৫ হাজার রকেট হামলা চালায় হামাস বাহিনী। এরপর থেকেই শুরু হয়েছে যুদ্ধ। একটানা মিসাইল হামলা চালাচ্ছে হামাস। চলছে গোলাগুলিও। স্থলপথে, আকাশপথে ইজরায়েলে ঢুকে পড়েছে হামাস বাহিনী। বিগত ৫ দিনের সংঘর্ষে এখনও অবধি সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ১২০০ নাগরিক ইজরায়েলের। গাজার তরফেও জানানো হয়েছে, ৭৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, ইজরায়েল সেনার তরফে মঙ্গলবারই জানানো হয়, হামাস বাহিনীর ১৫০০ জঙ্গির দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ইজরায়েল সেনার তরফে গতকালই জানানো হয়, সিরিয়া থেকে ইজরায়েলি সীমান্তে একাধিক হামলা চালানো হচ্ছে। গোলাগুলির পাল্টা জবাব দিচ্ছে ইজরায়েলি সেনাও। সূত্রের খবর, লেবানন থেকেও ইজরায়েলের উপরে মিসাইল বর্ষণ করছে হামাস বাহিনী।
হামাস বাহিনীর উপরে এখনও জোরদার হামলা চালাতে পারছে না ইজরায়েলি সেনা। কারণ ইজরায়েলের কমপক্ষে ১৬৩ জনকে বন্দি বানিয়ে রেখেছে হামাস বাহিনী। এরমধ্যে অধিকাংশই মহিলা ও শিশু। ইজরায়েল গাজা স্ট্রিপে একটা বোমা ফেললে এক একজন বন্দিকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিয়েছে হামাস বাহিনী।
এদিকে, গাজা স্ট্রিপকে হাতে রাখতে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ইজরায়েল। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জল সরবরাহও। যুদ্ধ শুরুর পর এমনিতেই পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে গাজার। জল সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।