Donald Trump: ৩১ মাসেও বাইডেন যা পারেননি, তা জিতেই করে দেখালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প!

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Nov 07, 2024 | 10:15 AM

Russia-Ukraine War: ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। সেই যুদ্ধের ৩১ মাস হয়ে গিয়েছে। ইউক্রেনের উপরে রাশিয়ার এই আগ্রাসনের জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকেই দায়ী করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিশানা করেছিলেন ন্যাটোকেও।

Donald Trump: ৩১ মাসেও বাইডেন যা পারেননি, তা জিতেই করে দেখালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প!
ডোনাল্ড ট্রাম্প।
Image Credit source: PTI

Follow Us

ওয়াশিংটন: প্রেসিডেন্ট পদে ফিরছেন ট্রাম্প। ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে চলেছেন তিনি। আর ক্ষমতায় ফিরতেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের বড় ঘোষণা। বিজয়ী ভাষণেই বললেন, “আমি যুদ্ধ বন্ধ করতে চলেছি। আর কোনও যুদ্ধ হতে দেব না”। ট্রাম্পের এই ঘোষণার পরই রাশিয়ার ভূখণ্ড থেকে সেনা প্রত্যাহ্যার করে নিল ইউক্রেন। ৩১ মাস ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শেষের ইঙ্গিত এটা, এমনটাই মনে করছেন কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা।

গতকালই ভাষণে ট্রাম্প নিজের আগের মেয়াদের কথা মনে করিয়ে বলেন, “আমার চার বছরের মেয়াদে কোনও যুদ্ধ করিনি। বরং আইসিস-কে হারিয়েছি”। যুদ্ধ থামানোর বার্তা দেওয়ার পরই রাতারাতি রাশিয়ার কুরস্ক থেকে সেনা প্রত্যাহার করার ঘোষণা করল ইউক্রেনের সেনা।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। সেই যুদ্ধের ৩১ মাস হয়ে গিয়েছে। ইউক্রেনের উপরে রাশিয়ার এই আগ্রাসনের জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকেই দায়ী করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিশানা করেছিলেন ন্যাটোকেও। প্রচারেই ট্রাম্প বলেছিলেন যে যুদ্ধ থামানোর জন্য পদক্ষেপ করবেন।

কূটনীতিকরা মনে করছেন, ক্ষমতা বদল হতেই ইউক্রেনকে আর্থিক ও সামরিক সাহায্য বন্ধ করে দিতে পারে আমেরিকা। বাইডেন থাকাকালীন যুদ্ধে ইউক্রেন আমেরিকার কাছ থেকে পূর্ণ সমর্থন পেলেও, এবার তা বদলাতে পারে। ট্রাম্প ন্যাটোর ক্ষমতাও কমিয়ে দিতে পারে বাজেট কমিয়ে। এতে ন্যাটো অন্তর্ভুক্ত ইউরোপীয় দেশগুলির উপরেও চাপ বাড়বে।

যুদ্ধ থামাতে কী করতে পারেন ট্রাম্প?

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ থামাতে মধ্যস্থতাকারীর কাজ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে যুদ্ধে দখল করা কিছু জায়গা দুই দেশের মধ্যে ভাগাভাগি করে দিতে পারেন। ক্রিমিয়া, লুহানস্ক, জাপরজ়িয়া, দোনেস্ক, খেরশন দখল করে রাখা রয়েছে। রাশিয়া ও ইউক্রেনকে এর মধ্যে ভাগাভাগি করে দিতে পারেন।

Next Article