জান্তা বনাম জনতা, হোয়াইট হাউসের চাপে মায়ানমারের সেনা

সুমন মহাপাত্র |

Feb 12, 2021 | 4:30 PM

ইতিমধ্যেই মায়ানমারের সেনাবাহিনীর নেতৃত্বাধীন তিনটি কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে আমেরিকা।

জান্তা বনাম জনতা, হোয়াইট হাউসের চাপে মায়ানমারের সেনা
মায়ানমারে প্রতিবাদ

Follow Us

নেপিদ: নোবেলজয়ী নেত্রী সু কি-কে আটক করার পর থেকেই উত্তাল মায়ানমার। সে দেশের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে আম জনতা। সেনাবাহিনী কাঁদানে গ্যাস, লাঠিচার্জ-সহ একাধিক ভাবে আন্দোলনকারীদের রুখে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারপরও দমেনি প্রতিবাদ। গান, গিটার নিয়ে সু কি-র দাবিতে রাস্তায় গণতন্ত্রপন্থীরা।

তবে কড়া হাতে আন্দোলন ঠেকাতে তৎপর মায়ানমারের সেনাবাহিনীও। আমেরিকার হুমকিকে গুরুত্ব না দিয়েই কড়া হাতে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে সেনা। সু কি-সহ অন্যান্য নেতৃত্বের মুক্তির দাবিতে সরব হয়েছিল হোয়াইট হাউস। কিন্তু তারপরই বাইডেন প্রশাসন মায়ানমারের সেনা নেতাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যার ফলে আন্তর্জাতিক মহলে কিছুটা হলেও চাপের মুখে মায়ানমারের সেনা।

সেনা অভ্যুত্থানের তীব্র নিন্দা করে সু কি-র মুক্তির দাবিতে সরব হয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘও। ইতিমধ্যেই মায়ানমারের সেনাবাহিনীর নেতৃত্বাধীন তিনটি কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে আমেরিকা। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে জান্তা সরকারকে টলানো সহজ নয়। এর আগেও রাজনৈতিক নেতাদের আটক, রোহিঙ্গা ইস্যুতে একাধিকবার নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছেন জান্তা আধিকারিকরা।

আরও পড়ুন: ধর্ষণের খবর সম্প্রচার হতেই কমিউনিস্ট চিনে নিষিদ্ধ সংবাদ মাধ্যম

সু কি-কে আটক করার পর প্রথম মায়ানমারের সেনাবাহিনীর প্রধান মিন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে জানিয়েছিলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্যই তাদের এই পদক্ষেপ। কিন্তু সেনাবাহিনীর হাতে ১ বছর ক্ষমতা সঁপে দেওয়ার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে নারাজ মায়ানমারবাসী। সে জন্যই ‘সামরিক স্বৈরাচারের’ বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছেন তারা। কিন্তু পাল্টা সেনাবাহিনীর দাবি, গত নির্বাচনে কারচুপি করেছেন সু কি। তাই তাঁকে আটক করে সঠিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় সেনা।

Next Article