ধর্ষণের খবর সম্প্রচার হতেই কমিউনিস্ট চিনে নিষিদ্ধ সংবাদ মাধ্যম

চিনের এই পদক্ষেপকে বদলা হিসেবে দেখছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

ধর্ষণের খবর সম্প্রচার হতেই কমিউনিস্ট চিনে নিষিদ্ধ সংবাদ মাধ্যম
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Feb 12, 2021 | 3:13 PM

বেজিং: চিনে (China) উইঘুর অত্যাচার, মহিলাদের যৌন নির্যাতন নিয়ে একাধিক তথ্য প্রকাশ্যে এনেছিল সংবাদ মাধ্যম বিবিসি (BBC)। তারপরেই নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগে চিনে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস নিষিদ্ধ করল জিনপিং প্রশাসন। আর বেজিংয়ের এই পদক্ষেপের সপ্তাহ খানেক আগেই ব্রিটেনে চিনা গ্লোবাল টাইমসের সম্প্রচার নিষিদ্ধ করেছিল বরিস প্রশাসন। তাই চিনের এই পদক্ষেপকে বদলা হিসেবে দেখছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

চিনের এই পদক্ষেপের পরে বিবৃতি দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, তারা হতাশ। বিবৃতিতে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমের পক্ষ থেকে লেখা হয়েছে, “আমরা হতাশ যে চিন এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিবিসি বিশ্বের সবচেয়ে বিশ্বস্ত আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম। আমাদের রিপোর্ট স্বচ্ছ, নিপপেক্ষ ও অকুতোভয়।” ব্রিটিশ বিদেশ সচিব ডমিনিক রেব নিন্দায় সরব হয়ে চিনের এই পদক্ষেপকে “সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ” বলে মন্তব্য করেছেন।

ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টও। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে এই ঘটনার বিরুদ্ধে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার সওয়াল করা হয়েছে। হংকং ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিগত কয়েক মাস থেকেই ব্রিটেনের সঙ্গে চিনের বিরোধ চলছে। চিনে নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইন আনার ফলে কেড়ে নেওয়া হয়েছে হংকংবাসীর স্বাধীনতা, এই অভিযোগ করে বরিস জনসন হংকংয়ের বাসিন্দাদের ব্রিটেনে স্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানে রকেট হামলা, মৃত্যু নাবালকের, আহত একাধিক

ঠিক কী অভিযোগ বিবিসির বিরুদ্ধে?

জিনহুয়া সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, নীতিমালা লঙ্ঘনের জন্য বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসকে চিনে নিষিদ্ধ করেছে জিনপিং প্রশাসন। প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই বিবিসি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল জিনজিয়াংয়ের উইঘুর পুনঃশিক্ষন শিবিরে থাকা এক মহিলার সাক্ষাৎকার। যেখানে তিনি দাবি করেছিলেন, মাঝ রাতে এসে মেয়ে বাছাই করে নিয়ে যায় উইঘুর শিবিরের নিরাপত্তা কর্মীরা। তারপর অন্ধকার ঘরে চলে ধর্ষণ। অনেক রাতে তাঁদের পছন্দের শিকার হয়েছেন তিনিও। বিবিসিকে এ কথাই জানিয়েছিলেন ওই মহিলা।