জেনেভা: ২০২০ সালটা করোনাকাল হিসাবেই পরিচিত সকলের কাছে। ওই মারণ ভাইরাসের প্রভাব কতটা ভয়ঙ্কর ছিল, তার স্মৃতি এখনও তাজা। সেই কারণেই ৫ বছর পর চিনে নতুন আরেক ভাইরাস, হিউম্যান মেটানিউমো বা এইচএমপি ভাইরাস ছড়াতেই মানুষের মনে আতঙ্ক দানা বেঁধেছে। নানা মুনির নানা মত শোনা যাচ্ছে এই ভাইরাস নিয়ে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কী বলে, তা জানতেই মুখিয়ে ছিল সকলে। অবশেষে সেই উত্তর মিলল। এইএমপিভি নিয়ে কী বলল হু?
বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদর দফতর জেনেভা থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে হু-র মুখপাত্র ডঃ মার্গারেট হ্যারিস বলেন, “সম্প্রতি চিনে বিভিন্ন মরশুমি ফ্লু, আরএসভি, সার্স কোভি-২ (করোনাভাইরাস), এইচএমপিভি ও রাইনো ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে। তবে এইচএমপিভি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ঋতু বদলেের সম এই ধরনের সংক্রমণ ছড়ানো খুব সাধারণ ঘটনা, যা প্রতি বছরই ঘটে।”
“Human metapneumovirus #hMPV is NOT a new virus.
First identified in 2001, it has been in the human population for a long time. It is a common virus that circulates in winter and spring. It usually causes respiratory symptoms similar to the common cold.”
– @who pic.twitter.com/zojxwNLgH8
— United Nations Geneva (@UNGeneva) January 7, 2025
হু-র মুখপাত্র জানান, চিনে ফুসফুস সংক্রান্ত সংক্রমণ বাড়লেও, তা এখনও পর্যন্ত স্বাভাবিক সীমার মধ্যে রয়েছে। চিন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত বছরেও সংক্রমণ ছড়িয়েছিল। তার তুলনায় এ বছর তুলনায় আক্রান্তরা কম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। চিনা প্রশাসনকে কোনও জরুরি ব্যবস্থা বা ঘোষণাও করতে হয়নি।
এইচএমপিভি নিয়ে আশ্বস্ত করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র জানান, এই ভাইরাস নিয়ে বর্তমানে আতঙ্ক তৈরি হলেও, এটি নতুন ভাইরাস নয়। ২০০১ সালে প্রথম ভাইরাসটি চিহ্নিত করা হয়। তারপর দীর্ঘ সময় ধরে তা মানুবসমাজে রয়েছে।
সংক্রমণ নিয়ে সতর্ক করে তিনি বলেন যে মরশুমি ফ্লু বা সর্দি-কাশির যে উপসর্গ থাকে, এই ভাইরাসের সংক্রমণেও একই উপসর্গ দেখা যায়। তবে এই ভাইরাসও মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে, সংক্রমিত ব্যক্তি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। বিশেষ করে শিশু ও প্রবীণ ব্যক্তি এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। তবে এইচএনপিভিতে মৃত্যুর সম্ভাবনা প্রায় নেই বলেই আশ্বস্ত করেছে হু।