জেনেভা : ২০২১- শেষ হওয়ার আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বার্তা দিয়েছে, করোনার সুনামি আসতে চলেছে। বিশ্ব জুড়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে। তবে বছর শেষ হওয়ার আগে ইতিবাচক বার্তা দিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেয়াসিস। তাঁর দাবি, বিশ্বের সব দেশ একজোট হয়ে কাজ করতে পারলে ২০২২-এই করোনা অতিমারিকে হারিয়ে দেওয়া সম্ভব। সব দেশে সন পরিমাণ টিকা বিতরণের সওয়াল করেন তিনি। তাঁর মতে, সব দেশে সমানভাবে টিকাকরণ না হওয়ার কারণেই এ ভাবে প্রবেশ করছে একের পর এক নতুন ভ্যারিয়েন্ট।
করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) বিশ্ববাসীকে বারবার সতর্ক করেছে টিকার সম বন্টন নিয়ে। বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলো ভ্যাকসিন পাচ্ছে না ঠিক মতো। সেই দাবি বারবার সোচ্চার হয়েছে হু। এবার তিনি জানালেন টিকার সম বন্টন যদি সম্ভব হয়, তাহলে ২০২২ সালের মধ্যেই মহামারিকে পরাজিত করা সম্ভব হবে।
আর সেই দিন দেখার জন্য বিশ্বের সব দেশগুলোকে যৌভভাবে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে বলে তিনি মনে করেন। তাঁর মতে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতে দেশগুলো যদি সত্যিই আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসে, তাহলে ২০২২ সালের মধ্যেই অতিমারিকে পরাজিত করা সম্ভব। অবশ্যই দেশগুলোকে ‘সঙ্কীর্ণ জাতীয়তাবাদ’ ও ‘টিকা মজুত’ করার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন হু প্রধান।
সম্প্রতি এক সাংবাদিক বৈঠকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, “একদিকে যখন বিশ্বে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট এখনও ছড়াচ্ছে, সেই মুহূর্তে নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন, যা ডেল্টার থেকেও অধিক সংক্রামক, তাও ছড়িয়ে পড়ছে। দুই ভ্যারিয়েন্টের প্রভাবে সংক্রমণের সুনামি আসতে পারে, এই বিষয় নিয়েই আমি উদ্বিগ্ন।”
করোনা সংক্রমণ বাড়লে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে, এ কথাই উল্লেখ করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান। তিনি বলেন, “সংক্রমণের এই জোড়া আক্রমণ বর্তমানে এবং আগামিদিনেও স্বা,স্থ্যকর্মী ও স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উপর প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করবে। দীর্ঘ দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে লড়াই চালাতে চালাতে স্বাস্থ্যকর্মীরা ক্লান্ত, এর উপর নতুন করে চাপ সৃষ্টি হলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার মুখে পৌঁছবে।”
এরই মধ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে বার্তা দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী ডঃ সৌমা স্বামীনাথন। আগামী কয়েকদিনে যে হাসপাতালগুলিতে কী ভাবে ভিড় বাড়তে চলেছে, সেই বার্তা দিয়েছেন তিনি। স্বামীনাথন জানান, সংক্রমণ অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ছড়াবে। এত বেশি মানুষ অসুস্থ হবে যাতে হাসপাতালের সাধারণ বেড থেকে আইসিইউ কিংবা আউটডোর, ভরে যাবে রোগীতে। তাই ভারতের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোতে বদল আনার বার্তা দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন : Haryana Landslide: বছরের শুরুতেই বিপর্যয়! আচমকা ভূমিধস খনি অঞ্চলে, মৃত ১, নিখোঁজ কমপক্ষে ২০