Taiwan President: চিনের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করেই লড়াই! তাইওয়ানের প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্টকে চিনে নিন

TV9 Bangla Digital | Edited By: অরিজিৎ দে

Aug 03, 2022 | 4:55 PM

Taiwan-China Clash: অতীতেও অসংখ্যবার তাইওয়ানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বেজিং। কিন্তু এখনও অবধি চিনা চাপের কাছে মাথা নত করেনি তাইওয়ান।

Taiwan President: চিনের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করেই লড়াই! তাইওয়ানের প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্টকে চিনে নিন
ছবি: সংবাদ সংস্থা

Follow Us

তাইওয়ান নিয়ে চিন-আমেরিকার দ্বন্দ্ব ক্রমশই জোরাল হচ্ছে। মার্কিন হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ানে গিয়ে পৌঁছতেই চিনের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। ‘চিনকে অপমান করলে শাস্তি পেতে হবে’, হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে মনে করলেনও চিন বরাবরই এই দ্বীপরাষ্ট্রকে নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ বলে মনে করে। অতীতেও অসংখ্যবার তাইওয়ানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বেজিং। কিন্তু এখনও অবধি চিনা চাপের কাছে মাথা নত করেনি তাইওয়ান। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে তাইওয়ানের শিরদাঁড়া শক্ত করার কাজ করেছেন প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। চিনের দিক ক্রমাগত হুমকির পরেও নিজেদের অবস্থানেকে অনড় রয়ছেন ইং-ওয়েন। কে এই ইং-ওয়েন, কেমনভাবে হল তাঁর রাজনৈতিক উত্থান, পাঁচটি পয়েন্টে দেখে নেওয়া যাক…

  1. ন্যান্সি পেলোসিকে স্বাগত জানিয়ে ইং-ওয়েন বলেছিলেন, তাইপেইকে ইচ্ছাকৃতভাবে সামরিক অভিযানের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তবে আমাদের কোনওভাবেই মাথা নত করবে না। “গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আমরা আত্মরক্ষার পথেই হাঁটব”
  2. ৩১ অগস্ট ১৯৫৬ সালে তাইওয়ানের তাইপেইতে জন্মগ্রহণ করেন সাই ইং-ওয়েন। বাবা-মায়ের ১১ জন সন্তানের মধ্যে তিনিই ছিলেন সবথেকে ছোট। ইং-ওয়েনের বাবা পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন।
  3. পরিবারের সঙ্গে তিনি তাইওয়ানের উপকূলবর্তী এক গ্রামে থাকতেন। ১১ বছর বয়সে সপরিবারে তিনি তাইপেইতে চলে আসেন। ন্যাশনাল তাইওয়ান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি আইনে স্নাতক হয়েছিলেন। এরপর ১৯৮০ সালে কর্ণেল বিশ্ববিদ্যালয় ল স্কুল থেকে তিনি স্নাতকোত্তর পাশ করেন। ১৯৮৪ সালে লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স থেকে তিনি ডক্টরেট ডিগ্রি পেয়েছেন।
  4. ২০০০ সালে সাই ইং-ওয়েনের রাজনৈতিক উত্থান হয় যখন তাঁকে মেনল্যান্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এরপর ২০০৪ সালে ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।
  5. নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৬ সালে ইতিহাস তৈরি করে তাইওয়ানের প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন ইং-ওয়েন। নিজের প্রথম মেয়াদকালে তাইওয়ানে সমকামী বিবাহকে বৈধতা দিয়েছিলেন তিনি।
  6. চিনের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে কড়া অবস্থান নেওয়ার কারণে ২০২০ সালে প্রতিদ্বন্দ্বী হান কুও-ইউ কুওমিনতাং পার্টিকে পরাজিত করে পুনরায় দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। বরাবরই তাইওয়ানের সার্বভৌমত্বের সপক্ষে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
Next Article