Bangladesh National Anthem: রবীন্দ্রনাথের ‘সোনার বাংলা..’ আর শোনা যাবে না বাংলাদেশে? স্পষ্ট জবাব ইউনুস সরকারের

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Sep 08, 2024 | 9:43 AM

Bangladesh National Anthem: চলতি সপ্তাহের শুরুতেই বাংলাদেশের জামাত-ই-ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা গুলাম আজমের ছেলে আবদুল্লাহিল আমন আজমি দাবি করেন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত ও সংবিধান বদল করার। তিনি বলেছিলেন, "বর্তমানে আমরা যে জাতীয় সঙ্গীত শুনি, তা স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্বের পরিপন্থী।"

Bangladesh National Anthem: রবীন্দ্রনাথের সোনার বাংলা.. আর শোনা যাবে না বাংলাদেশে? স্পষ্ট জবাব ইউনুস সরকারের
বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত বদল হবে?
Image Credit source: TV9 বাংলা

Follow Us

ঢাকা: বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পরই একাধিক পরিবর্তন এসেছে। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার যেমন বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্তাদের সরিয়ে দিয়েছেন, তেমনই আবার বহু উগ্রপন্থীদেরও মুক্তি দিয়েছে। এরইমধ্যে বাংলাদেশের অন্দরেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ইসলামী কট্টরপন্থীরা। তারা দাবি তুলেছে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত বদলের। রবীন্দ্রনাথের গান পরিত্যাগ করে অন্য কোনও গানকে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত করার দাবি করা হয়। তবে তাদের এই দাবি যে মানা হবে না, তা সাফ জানিয়ে দেওয়া হল অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে।

শনিবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্মীয় বিষয়ক পরামর্শদাতা খালিদ হোসেন বলেন, “বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তনের কোনও পরিকল্পনা নেই”। তিনি সাফ জানিয়ে দেন যে অন্তর্বর্তী সরকার এমন কোনও পদক্ষোপ করবে না যা বিতর্ক তৈরি করতে পারে।

প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহের শুরুতেই বাংলাদেশের জামাত-ই-ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা গুলাম আজমের ছেলে আবদুল্লাহিল আমন আজমি দাবি করেন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত ও সংবিধান বদল করার। তিনি বলেছিলেন, “বর্তমানে আমরা যে জাতীয় সঙ্গীত শুনি, তা স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্বের পরিপন্থী। এটা বঙ্গভঙ্গের সময়কার ও দুই বঙ্গের এক হয়ে যাওয়ার গান। দুই বাংলার এক হওয়ার গান কীভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হতে পারে? ১৯৭১ সালে এই গান আমাদের উপরে চাপিয়ে দিয়েছিল ভারত। বহু গানই বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হতে পারত। সরকারের উচিত একটি নতুন কমিশন তৈরি করে নতুন জাতীয় সঙ্গীত নির্বাচন করা।”

এই খবরটিও পড়ুন

বাংলাদেশে নতুন সরকারের অভ্যুত্থানের পর মন্দিরে হামলার ঘটনাকে অত্যন্ত ঘৃণ্য অপরাধ বলে উল্লেখ করে ধর্মীয় বিষয়ক পরামর্শদাতা খালিদ হোসেন বলেন, “যারা ধর্মীয় স্থানে হামলা করে, তারা মানবতার শত্রু। এরা অপরাধী। আইনানুগ পদ্ধতিতে তাদের শাস্তি দেওয়া হবে।”

তিনি জানান যে দুর্গাপুজোর সময়ে যাতে মন্ডপগুলিতে কোনও হামলা বা নাশকতা না হয়, তার জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা এবং মাদ্রাসার পড়ুয়ারা পাহারা দেবে।

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)

 

Next Article