WHO on Easing COVID Restriction: ‘এখনও সময় আসেনি…’, বিধিনিষেধ শিথিল করা নিয়ে সতর্কবার্তা দিল WHO

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Feb 03, 2022 | 2:55 PM

WHO on Easing COVID Restriction: ব্রিটেনে যেমন মাস্ক পরার নিয়মও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে, অন্যান্য দেশেও একান্তবাস থেকে করোনা পরীক্ষা, সমস্ত নিয়মই শিথিল করা হচ্ছে।

WHO on Easing COVID Restriction: এখনও সময় আসেনি..., বিধিনিষেধ শিথিল করা নিয়ে সতর্কবার্তা দিল WHO
দেশেও পৌঁছে গেল করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট? ছবি:PTI

Follow Us

জেনেভা: শুধু দেশ নয়, বিশ্বজুড়েই কমছে করোনা সংক্রমণ (COVID-19)। আর সংক্রমণ কমতেই শিথিল হতে শুরু করেছে বিধিনিষেধ।  ব্রিটেনে যেমন মাস্ক পরার নিয়মও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে, তেমনই ডেনমার্কে করোনা সংক্রান্ত যাবতীয় বিধিনিষেধই (COVID Restrictions) প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। অন্যান্য দেশেও একান্তবাস থেকে করোনা পরীক্ষা, সমস্ত নিয়মই শিথিল করা হচ্ছে। তবে দেশগুলির এই সিদ্ধান্তকে ভাল চোখে দেখছে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organization)। তাদের মতে, করোনার বিরুদ্ধে জয় ঘোষণা করা বা সংক্রমণ রুখতে যে বিধিনিষেধগুলি রয়েছে, তা প্রত্যাহার করে নেওয়ার মতো সময় এখনও আসেনি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, করোনার বাকি ভ্যারিয়েন্টগুলির তুলনায় ওমিক্রন তুলনামূলকভাবে কম শক্তিশালী হলেও, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যে হারে করোনায় মৃত্যু বাড়ছে, তা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেয়াসিস (Tedros Adhanom Ghebreyesus) বলেন, “কোনও দেশেরই উচিত নয়এখনই করোনার বিরুদ্ধে জয় ঘোষণা বা স্বাস্থ্যবিধি শিথিল করে দেওয়া। এই ভাইরাসটি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর এবং আমাদের চোখের সামনেই প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। ”

হু প্রধান বলেন, “বেশ কিছু দেশে এই চিন্তাধারা তৈরি হয়েছে যে করোনা টিকাকরণ এবং ওমিক্রনের গুরুতর অসুস্থ করার কম ক্ষমতার কারণে করোনা প্রতিরোধে আর বিধিনিষেধের প্রয়োজন নেই। এই চিন্তাধারা নিয়ে আমরা অত্য়ন্ত উদ্বিগ্ন। এর কোনও সত্যতা নেই। যত বেশি সংক্রমণ বাড়বে, ততই মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়তে থাকবে।”

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ১০ সপ্তাহ আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ওমিক্রন সংক্রমণের খোঁজ মিলেছিল। এর মধ্যেই বিশ্বজুড়ে প্রায় ৯ কোটিরও বেশি ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, যা ২০২০ সালের মোট আক্রান্তের সংখ্যার তুলনায় বেশি।

এই তথ্য নজরে রেখেই করোনা সংক্রমণ রোখার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত বলে জানান হু প্রধান। তিনি বলেন, “আমরা কোনও দেশকেই বলছি না যে লকডাউনের নিয়ম ফিরিয়ে আনা হোক। তবে শুধু ভ্য়াকসিন নয়, যাবতীয় ক্ষমতার ব্যবহার করেই সংক্রমণ রোধের অনুরোধ করছি আমরা।”

ওমিক্রনের নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে, সে বিষয়ে টেড্রোস আধানম গেব্রেয়াসিস বলেন, “এই ভাইরাস নিয়মিত পরিবর্তিত হতেই থাকবে। সেই কারণেই আমরা দেশগুলিকে করোনা পরীক্ষা, কড়া নজরদারি ও জিনোম সিকোয়েন্সিং জারি রাখতে বলছি। যদি ভাইরাসের গতিবিধি সম্পর্কেই আমরা জানতে না পারি, তবে এর সঙ্গে লড়াই করা অসম্ভব।”

মঙ্গলবারই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়, ইতিমধ্যেই বিশ্বের ৫৭টি দেশে পৌঁছে গিয়েছে ওমিক্রনের এই সাব ভ্যারিয়েন্ট। বিশ্বের একাধিক দেশে এটি ধীরে ধীরে ডমিন্যান্ট ভ্যারিয়েন্ট হিসাবেও রূপান্তরিত হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: Bangladesh: সংক্রমণ কমেনি, খুলছে না ওপার বাংলার স্কুল 

আরও পড়ুন: India-Afghanistan relation: খাদ্যসঙ্কট চরমে, দ্রুতই আফগানিস্তান রওনা দেবে ভারতে পাঠানো ৫০ মেট্রিকটন গম 

Next Article