মস্কো: প্রায় ২ মাস হয়ে এল, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) এখনও থামার কোনও লক্ষণ নেই। সামরিক শক্তিতে অনেক পিছিয়ে থাকলেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রাণপণ লড়াই চালাচ্ছে ইউক্রেন। রাশিয়ান হানার মুখে ইউক্রেনের অবস্থা বিধ্বস্ত, চারদিকে শুধু কালো ধোয়া, আর স্বজন হারানো কান্না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইউক্রেনে এমন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়নি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির (Volodymyr Zelensky) নেতৃত্বে রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে লড়াই করছে ইউক্রেন। যুদ্ধ চলাকালীনই এবার বড়সড় ধাক্কার মুখে রাশিয়া। রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ নৌবাহিনীকে নেতৃত্ব দিচ্ছিল মস্কভা (Moskva) নামে ওই যুদ্ধজাহাজ, আকস্মিকভাবেই সেই যুদ্ধজাহাজ কৃষ্ণ সাগরের অতলে তলিয়ে গিয়েছে বলেই জানিয়েছে ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ। ইউক্রেনের দাবি, তাদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের কারণে মস্কভাতে বিস্ফোরণ হয় এবং সেই বিস্ফোরণের কারণে ওই যুদ্ধজাহাজ ডুবে গিয়েছে, তবে একথা সটান অস্বীকার করেছিল রাশিয়া। তবে মস্কভা ডুবে যাওয়ার ঘটনাকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে রাশিয়ার এক সংবাদমাধ্যম।
রাশিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রণাধীন সংবাদমাধ্যমের দাবি, মস্কভা ডুবে যাওয়ার পর থেকেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে। ইউক্রেনের দাবি খারিজ করে রাশিয়া জানিয়েছিল ওই যুদ্ধজাহাজে থাকা গোলাবারুদ ও দাহ্য পদার্থে আগুন লেগে যাওয়ার কারণেই বিস্ফোরণ হয়েছিল। তবে রাশিয়ার ওই সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে এই জাহাজ ডুবে যাওয়ার ফলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে এবং এই বিষয়ে তারা অনেকেটাই নিশ্চিত। রাশিয়ার ওই খবরের চ্যানেলের ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। এমনকী ওই অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ন্যাটোকেও কটাক্ষ করেছেন। ওই সংবাদমাধ্যমের এই দাবি যদি সত্যি হয়, তবে তা নিঃসন্দেহে গোটা বিশ্বের জন্যই আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। কারণ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে একদিকে গোটা বিশ্ব যেমন জ্বালানির তেলের দাম বাড়ছে, অন্যদিকে নানাবিধ অর্থনৈতিক সমস্যাও দেখা গিয়েছে। এখনও যদি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়, তবে শক্তিধর দেশগুলি তাতে যোদদান করবে এবং তার মারাত্মক ফল হবে। এখন এই দাবির কতটা সত্যতা রয়েছে তা আগামীদিনেই বোঝা যাবে।