বেজিং : কোভিডের জেরে এক সময় থমকে গিয়েছিল গোটা বিশ্ব। অতিমারির জেরে প্রাথমিকভাবে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছিল চিন। ড্রাগনের দেশ থেকেই এই ভাইরাস গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল। এই আবহে এই ভাইরাস প্রতিরোধে চরম পর্যায়ে কড়াকড়ি দেখা গিয়েছিল চিনে। সাম্প্রতিককালে ফের একবার কোভিডের বাড়বাড়ন্ত দেখা দিলে সেদেশের বিভিন্ন শহরে সম্পূর্ণ লকডাউন জারি করা হয়েছিল। এই আবহে এবার করোনার জেরে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ইলেকট্রনিক্স পাইকারি বাজার বন্ধ হয়ে গেল শেনজ়েনে।
চিনের ‘জিরো কোভিড’ নীতি ইতিমধ্যেই বিশ্বে সমালোচিত হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে চিনের একাধিক শহর থেকে বেশ কিছু ভিডিয়ো ও ছবি ভাইরাল হয়েছে। তাতে সাধারণ মানুষের কষ্টের চিত্র ফুটে উঠেছে। তবে বেজিংয়ের তরফে নিজেদের নীতি বদল করা হয়নি। এই আবহে চিনের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত শেনজ়েন শহরে কোভিড রুখতে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। শেনজ়েনের হুয়াকিয়াংবেই জেলায় অবস্থিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ ইলেকট্রনিক পাইকারি বাজার। তবে কোভিডের জেরে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই বাজার বন্ধ থাকবে।
জানা গিয়েছে, বাজারে কর্মরত সবাইকে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাড়ি থেকে কাজ করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিদিন প্রতিটি কর্মীকে কোভিড পরীক্ষা করাতে বলা হয়েছে। হুয়াওয়েই থেকে শুরু করে অ্যাপেলের মতো সংস্থার ব্যবসা প্রভাবিত হবে এর জেরে। মনে করা হচ্ছে হংকং থেকেই শেনজ়েনে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। দ্বীপ শহর হংকং শেনজ়েনের খুব কাছে অবস্থিত। চিনা সরাকরি তথ্য অনুযায়ী, আজকে হংকংয়ে ৮৪৮৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এই দৈনিক সংক্রমণের হার ২০ হাজার ছুঁতে পারে বলে আশঙ্রা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পার্শ্ববর্তী শেনজ়েনে লকডাউন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। কয়েক মাস আগে কোভিড রুখতে শাংহাইয়ের মতো শহরকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল চিনের কমিউনিস্ট সরকার। এদিকে দেশের রাজধানী বেজিংয়ে বর্তমানে প্রতি সপ্তাহে তিনদিন করে কোভিড পরীক্ষা করানো বাধ্যতামূলক নাগরিকদের জন্য। আর এখন ১.৭ কোটি বসবাসকারীর শহর শেনজ়েংয়ে অত্যাবশ্যক পরিষেবা ছাড়া বাকি সবকিছু বন্ধ করা হয়েছে।