ঢাকা: কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে চলতি বছরের জুলাইয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। সেই সময় আন্দোলনকারীদের মুখে শোনা গিয়েছিল একটি স্লোগান, ‘তুমি কে, আমি কে, রাজাকার, রাজাকার।’ তারপর পদ্মা গিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়েছে। আর অন্তর্বর্তী সরকারের ৪ মাস কাটতে না কাটতে ফের উত্তপ্ত বাংলাদেশ। এই পরিস্থিতিতে ‘রাজাকারের বাচ্চার নাতিপুতিতে দেশ ভরে গেছে’ বলে ইউনূস প্রশাসনকে আক্রমণ করলেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা পাকিস্তানকে সাহায্য করেছিল, তাদের রাজাকার বলা হয়। আর মুক্তিযুদ্ধের আন্দোলনকারীরা হলেন মুক্তিযোদ্ধা। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় এক সাংবাদিক বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, “মুক্তিযোদ্ধারা কোটার সুবিধা পাবে না তো কী রাজাকারের বাচ্চারা পাবে।” কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ‘রাজাকার, রাজাকার’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ।
ইউনূস প্রশাসনের চার মাস কাটতে না কাটতেই বাংলাদেশে অস্থির পরিস্থিতি। চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে ২ কিশোরকে কুপিয়ে খুন করা হয়। সেই ঘটনায় ‘রাজাকারদের’ দায়ী করলেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইউনূস প্রশাসনকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। লেখেন, ” রাজাকারের বাচ্চায়, নাতিপুতিতে দেশ ভরে গেছে। মুক্তিযোদ্ধারা হয় মরে গেছে, নয় দেশ ছেড়ে চলে গেছে, আর তাদের বাচ্চাকাচ্চা, নাতিপুতিরা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ছুড়ে ফেলে রাজাকারি আদর্শ ধারণ করেছে।” এরপরই বর্তমান পরিস্থিতি উল্লেখ করে তিনি লেখেন, “আজ সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত, নারীরা বোরখায় আবৃত।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে ২ কিশোরকে কুপিয়ে খুনের ঘটনার নিন্দা করে তসলিমা লেখেন, “দুই কিশোর দেওয়ালে জয় বাংলা স্লোগান লিখেছিল। জয় বাংলা, এই দুটো শব্দ রাজাকারদের পছন্দ নয়, রাজাকারদের বাচ্চাদের পছন্দ নয়, রাজাকারদের নাতিপুতিদের পছন্দ নয়। সে কারণে কুপিয়ে মেরেছে দুটো কিশোরকে। এই হত্যাকাণ্ডের কোনও বিচার হবে না। কারণ মসনদ এখন রাজাকারদের দখলে।”